অনলাইন ডেস্ক
সোমবার (৩ জানুয়ারি) এই খবর দিয়েছে নাসা। জানিয়েছে, এই গ্রহাণুগুলোর কোনোটিই গ্রহাণুদের আদত ঠিকানা মঙ্গল ও বৃহস্পতির মাঝখানে থাকা গ্রহাণুপুঞ্জ (‘অ্যাস্টারয়েড বেল্ট’) থেকে আসছে না। এরা সকলেই আসছে পৃথিবীর খুব কাছেপিঠের মুলুক থেকে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা তাই এই ধরনের গ্রহাণুগুলিকে ডাকেন ‘নিয়ার-আর্থ অবজেক্টস্’ (এনইও) নামে। এদের সংখ্যা অগণন। নাসা এখনো পর্যন্ত এমন ২৬ হাজার এনইও-র হদিশ পেয়েছে। তাদের মধ্যে অন্তত এক হাজারটি আগামী দিনে পৃথিবীর পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে বলে নাসার তরফে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
গত ডিসেম্বরে মোট ৬টি গ্রহাণু ধেয়ে এসেছিলো পৃথিবীর দিকে। তবে তার কোনোটিই এই গ্রহের কান ঘেঁষে বেরিয়ে গেলেও বাকিগুলো পৃথিবীর কিছুটা দূর দিয়েই চলে যায় সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে। বুধবার থেকে পর পর তিন দিনে যে তিনটি গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে, তাদের মধ্যে আকারে সবচেয়ে বড়টি আসছে বুধবারই। গ্রহাণুটির নাম— ‘২২০২১ওয়াইকিউ’। এটি চওড়ায় ৪৯ থেকে ১১০ মিটার। বুধবারই এটি সবচেয়ে কাছে আসবে পৃথিবীর, ১০০ বছর পর।
এর আগে ১৯২৩ সালে এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর কাছাকাছি এসেছিলো। বুধবার পৃথিবীর কাছে আসার সময় এর গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৫২ হাজার ৮৪৮ কিলোমিটার। ঘণ্টায় ২২ হাজার ৯৩২ কিলোমিটার গতিবেগে বৃহস্পতিবার পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসবে আরো একটি গ্রহাণু— ‘২০১৪ওয়াইই১৫’। এটি চওড়ায় সাড়ে ৫ থেকে ১৩ মিটার। এটি আবার পৃথিবীর কাছাকাছি আসবে ২০২৪ সালে।
শুক্রবার পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসবে আরো একটি গ্রহাণু। ‘২০২০পিওয়ান’। এই সপ্তাহে যে তিনটি গ্রহাণু পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে এই গ্রহাণুটি তাদের মধ্যে আকারে সবচেয়ে ছোট। চওড়ায় ৩.২ থেকে ৭.১ মিটার। তারপর দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত আরো ৭টি গ্রহাণু ধেয়ে আসবে পৃথিবীর দিকে।
নাসা এখনো পর্যন্ত কোনো বিপদের হুঁশিয়ারি দেয়নি এই গ্রহাণুগুলো সম্পর্কে। যদিও গ্রহাণুদের গতিপথ সঠিকভাবে আঁচ করা মুশকিল আগেভাগে। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২০ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা