জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর এর পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানিয়েছেন, আইইডিসিআর অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে ইদানিং বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে খেজুরের কাঁচা রস নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও খেজুরের কাঁচা রস পান উৎসবও পালিত হচ্ছে।
ডা. সেব্রিনা বলেন, বাংলাদেশে শীত মৌসুমে মূলতঃ খেজুরের কাঁচা রস পাওয়া যায়। আইইডিসিআর ২০০১ সাল থেকে বাংলাদেশে নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের বিষয়ে জনগণকে সর্তক করে আসছে। খেজুরের কাঁচা রস পানে নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। নিপাহ একটি ভাইরাসজনিত মারাত্মক রোগ যা বাদুড় থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়।
তিনি বলেন, এ রোগের প্রধান লক্ষণসমূহ হচ্ছে-জ্বরসহ মাথা ব্যথা, খিঁচুনি, প্রলাপ বকা, অজ্ঞান হওয়াসহ কোন কোন ক্ষেত্রে মারাত্বক শ্বাস কষ্ট।
তিনি আরও বলেন, নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সর্ব সাধারনের জন্য কিছু পরামর্শ – খেজুরের কাঁচা রস খাবেন না, কোন ধরনের বাদুড়ে খাওয়া আংশিক ফল খাবেন না, আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসার পর সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে।
তিনি জানান, বাংলদেশে সাধারণত শীতকালে নিপাহ সংক্রমণ দেখা যায়। এই সময়ে খেজুরের রস পানে বিরত থাকুন। এই বিষয়ে দেশের সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন সমূহের প্রতি আইইডিসিআর আহবান জানাচ্ছে- দয়া করে খেজুরের রস সংক্রান্ত উৎসবসহ যে কোন আয়োজন থেকে বিরত থাকুন।
আমরা আবারও মনে করিয়ে দিতে চাই যে নিপাহ একটি মারাত্মক রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাস। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে এখনও কোন চিকিৎসা নেই। ২০০১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ এই রোগে মৃত্যু হার শতকরা ৭০ ভাগ।
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য আইইডিসিআর এর ওয়েব সাইটে পাওয়া যাবে www.iedcr.org – এই বিষয়ে আইইডিসিআর সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা