ভারত সফরে সাকিব আল হাসান যেতে চাচ্ছেন না -এমন সংবাদে যখন চারদিকে সমালোচনা চলছে ঠিক সে সময়ই এলো ভিন্ন খবর।
জুয়াড়িদের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়ে তা বোর্ড কিংবা আইসিসিকে না জানানোর অভিযোগে তাকে নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটি। শোনা যাচ্ছে আজ কালের মধ্যে সাকিবকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি জানাবে আইসিসি।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) দিবাগত রাত থেকে সাকিবের সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে থাকে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বেশকিছু সূত্রের বরাত দিয়ে এসব প্রতিবেদনে বলা হয়, আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, জুয়াড়ির দেওয়া প্রস্তাব বোর্ড বা সংস্থাটির দুর্নীতি দমন সংস্থা আকসুকে না জানানোয় ১৮ মাস পর্যন্ত নিষিদ্ধ হতে পারেন সাকিব আল হাসান।
এখন পর্যন্ত আইসিসি, বিসিবি বা সাকিব আল হাসানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি বা মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিকল্প হিসেবে টেস্টে মুশফিকুর রহীম ও টি-টোয়েন্টিতে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে অধিনায়ক করে ভারতে দল পাঠানোর প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছে বিসিবি।
আবার কেউ কেউ ভারত সফরের জন্য প্রস্তুতি ক্যাম্পে সাকিবের অনুপস্থিতির মাঝেই খুঁজে পাচ্ছেন এমন সংবাদের সত্যতা। আর তাই ক্ষোভ ঝাড়ছেন আইসিসি এবং বিসিবির বিরুদ্ধে। কেউ আবার দোষ দেখছেন সাকিবের। আর কেউ ভাবছেন বিভিন্ন দাবিতে ধর্মঘট ডাকায় ‘বলির পাঠা’ হতে হচ্ছে বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডারকে!
জানা গেছে, দুই বছর আগে একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে জুয়াড়ির (বুকি) কাছ থেকে অনৈতিক প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। প্রস্তাবটি তাৎক্ষণিক প্রত্যাখ্যান করলেও তা গোপন করেন তিনি।
বিষয়টি পরে আইসিসি জানতে পারে। জুয়াড়িদের কল রেকর্ড ট্র্যাকিং করে এ ব্যাপারে আরো তথ্য পায় আইসিসির অ্যান্টিকরাপশন ইউনিট (আকসু)।
ওই জুয়াড়ি আইসিসির কালো তালিকায় থাকাদের একজন। বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার পর সম্প্রতি সাকিবের সঙ্গেও কথা বলে আকসুর প্রতিনিধি। ওই প্রতিনিধি দলের কাছে নিজের ভুলও স্বীকার করেছেন সাকিব। আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেছেন, জুয়াড়ির প্রস্তাবকে গুরুত্ব দেননি বলেই জানাননি।
বিষয়টি হালকাভাবে নেওয়াটাই তার জন্য কাল হয়েছে। সব ধরনের ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছেন তিনি। এই অপরাদে ১৮মাস থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত নিষিদ্ধ হতে পারেন সাকিব। তবে সাকিব আপিল করলে শাস্তির মেয়াদ কমতে পারে। তবে সেই শাস্তি হতে পারে ছয় মাস।
আইসিসির দুর্নীতি দমন নীতিমালায় কোনো ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ, আম্পায়ার, স্কোরার, গ্রাউন্ডসের সদস্য, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংশ্নিষ্ট যে কেউ জুয়াড়ির কাছ থেকে যে কোন ধরনের প্রস্তাব পেলে তাৎক্ষণিকভাবে তা আইসিসি বা সংশ্নিষ্ট দেশের ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাদের জানাতে হবে। যতটা দ্রুত সম্ভব সেটা করার নির্দেশ দেওয়া রয়েছে। যেটা সাকিব করেননি।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা