বিশিষ্ট কলামিস্ট ও সাংবাদিক, পাক্ষিক অনন্যার সাবেক নির্বাহী সম্পাদক, সাংবাদিক দিল মনোয়ারা মনুর কুলখানী আগামী ১৮ অক্টোবর, শুক্রবার বাদ আসর অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রীয় কচিকাঁচা র মেলা ভবনে (37 এ সেগুন বাগিচা, চিটাগাং হোটেলের উল্টো দিকে) বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট) ৪ তলায় অডিটোরিয়ামে (লিফট এর ৩) অনুষ্ঠিত হবে ।
কুলখানীতে শরিক হবার জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে স্বামী শামসুল হুদা মরহুমের আত্মীয় স্বজন, বন্ধুবান্ধব, শুভানুধ্যায়ী, সাংবাদিক, অনুরাগী, সহকর্মীসহ সকলকে আমন্ত্রণ ও অনুরোধ জানিয়েছেন।
গতকাল রোববার (১৩ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে বারডেম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় মনোয়ারা মনুকে। পরে রাত ১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। দুপুরে যোহর নামাজের পর লালমাটিয়ার বিবির মসজিদ, জাতীয় প্রেসক্লাব এবং কচিকঁাচার মেলায় জানাযা শেষে তাকে জুরাইন কবরস্থানে বাবা-মায়ের পাশে দাফন করা হয়েছে।
স্ত্রীর মৃত্যুর সম্পর্কে স্বামী শামসুল হুদা বলেন, এক ঘণ্টার ব্যবধানে মনু পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলো। রাত ১২টার আগেও ও সুস্থ ছিল। এক ঘন্টা পরেই তিনি মারা যান।
দিল মনোয়ারা মনু ১৯৫০ সালের ২ সেপ্টেম্বর বাবা অালী অাহমেদ খান ও মা জাকেরা অালীর ঘরে ফরিদপুরের ভাঙায় জন্মগ্রহণ করেন। ইডেন কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ সম্পন্ন করেন। ১৯৭৪ সালে বেগম পত্রিকায় সহ সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন। নাসিরউদ্দিন অাহমেদ, রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই এবং বেগম সম্পাদক নুরজাহান বেগমের সান্নিধ্যে স্বেহধন্য ছিলেন।
তাসমিমা হোসেন সম্পাদিত পাক্ষিক অনন্যায় ১৯৮৮ সালে যোগদান করেন। সেখানে টানা ২৫ বছর নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পাক্ষিক অনন্যায় তার কাছে কাজ শিখে, তার অধীনে কর্মরত বহু রিপোর্টার, সাব এডিটর, ফটোগ্রাফার এখন দেশী-বিদেশী বহু মিডিয়ায় এবং গণমাধ্যম বিষয়ক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রতিভার স্বাক্ষর রাখছেন। তার দীর্ঘ কর্মজীবনের স্বীকৃতিতে পাক্ষিক অনন্যা সম্পাদক তাসমিমা হোসেন তাকে অাজীবন সম্মাননা দিয়ে এক বিরল সম্মান জানান। নিজ প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন মেধা, শ্রম ও একনিষ্ঠতার সঙ্গে কাজ করার জন্য কাউকে সম্মানিত করার এমন ঘটনা বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ইতিহাসে প্রায় বিরল।
তিনি বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের জন্মলগ্ন থেকে এই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি গত চারবছর ধরে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের গণমাধ্যম উপ পরিষদের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সহ-সভাপতি ছিলেন। কেন্দ্রীয় কচি কাঁচার মেলার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য।সহ-সভানেত্রী ছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্বামী এসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অব বাংলাদেশ (এএলঅারডি)’র নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, ছয় ভাইবোন ( তারা মোট ১১ ভাইবোনের মধ্য ২ বোন ও এক ভাই অাগেই প্রয়াত), তাদের সন্তান, পেশাজীবনের অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা