অনলাইন ডেস্ক
বঙ্গবন্ধুর পক্ষ থেকে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সারাদেশে কিছু শহীদ পরিবার ও বীরাঙ্গনা সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা পর্যন্ত এককালীন সহায়তা পেয়েছিলেন। শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করলে তিনিও কিছু শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারকে সহায়তা করেছেন। কিন্তু কখনও শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারগুলোকে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর আওতায় সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়নি।
রাজশাহীর শহীদ বুদ্ধিজীবী সাংবাদিক এমএ সাঈদ, যাকে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা হলে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে সাঈদের দুই স্ত্রী তাদের সন্তান নিয়ে যে পথে বসেছিলেন, সেই ধাক্কা সামলিয়ে উঠতে পারেননি এখনও। শহীদ বুদ্ধিজীবী এম এ সাঈদের ছেলে আলমগীর বাবলু রাজশাহী নগরীর শিরোইল বাসস্ট্যান্ডের সামনে টং দোকানে চা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।।
দিনাজপুরের বীরগঞ্জের জিন্দাপীর এলাকার শহীদ বুদ্ধিজীবী ইছব আলি দেওয়ানের চার ছেলে ও দুই মেয়ে অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে দিনাতিপাত করছেন। তার জ্যেষ্ঠ সন্তান আব্দুল মজিদ আবুল বলেন, ‘জমি-জিরাত তেমন কিছু নাই। স্থানীয় একটি মসজিদে আজান দেই আর টুকটাক মুজরিগিরি করে দিন যায়। তয় সরকারের কাছে কিছু চাওয়ার নাই। বাবারে সম্মান দিক- এটাই চাই।’
যাপিতজীবনের বেহাল দশা তুলে ধরে দিনাজপুর পৌরসভার শহীদ বুদ্ধিজীবী সুকুমার বিশ্বাসের স্ত্রী শান্তিবালা বিশ্বাস বলেন, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে বেঁচে থাকার জন্য কঠিন সংগ্রাম শুরু করেছিলাম, যা এখনও চলছে। একমাত্র মেয়েকে দরিদ্র কৃষক পরিবারে বিয়ে দিয়েছি- এটুকুই সান্ত্বনা। সরকার কোনো সহযোগিতা করেনি। তিন বছর হলো মাসে ৫০০ টাকা করে বয়স্ক ভাতা পাই।
এমন চিত্র আরও অনেক আছে। দেশের জন্য যারা প্রাণ দিয়েছেন, তাদের পরিবার স্বাধীন দেশে এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পরিবার রাষ্ট্রীয়ভাবে পায়নি কোনো সহযোগিতা। একাত্তরের পর বঙ্গবন্ধুর সরকারের কাছ থেকে কিছু সহযোগিতা পেলেও পচাঁত্তরের পটপরিবর্তনের পর পাল্টে যায় পরিস্থিতি।
এ প্রসঙ্গে শহীদ বুদ্ধিজীবী প্রখ্যাত সুরকার আলতাফ মাহমুদের মেয়ে শাওন মাহমুদ বলেন, বাবাকে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু ছিলেন আমাদের পরিবারের অভিভাবক। ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনিচক্র আমাদের বাড়িটি কেড়ে নেয়। সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধাও আর মেলেনি।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের যেমন করে বর্তমান সরকার ভাতাসহ বিভিন্ন কোটার আওতায় রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে, ঠিক একইভাবে শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারগুলোর পাশেও সরকারের দাঁড়ানো উচিত।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের পরিবারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সহায়তার কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, প্রথম দফায় আমরা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের একটি তালিকা প্রকাশ করেছি। তবে এটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি। এর কাজ এখনও চলছে। শহীদ
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা