অনলাইন ডেস্ক
রোববার রাতে ৪২ লাখ টাকায় সেই ব্র্রেসলেটটি কিনে নিয়েছে বাংলাদেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানি এসোসিয়েশন (বিএলএফসিএ)।
তাদের পক্ষে নিলামে অংশ নেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম। তিনি আবার আইপিডিসি’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর।
রাত সাড়ে ৯টায় শুরু হয় ব্রেসলেটের নিলাম। এর ভিত্তিমূল্য ছিল ৫ লাখ টাকা। গ্রামীণ ফোন এবং দুটি বেসরকারি ব্যাংক কিনতে চেয়েছিল তার ব্যবহৃত ব্রেসলেটটি। কিন্তু অকশন ফর অ্যাকশনের মাধ্যমে নিলামে তোলা হয়েছিল ব্রেসলেটটি।
প্রথমে সঞ্চালক আরিফ আর হোসেন ঘোষণা দেন, ৪০ লাখ টাকায় সর্বশেষ বিডকারী প্রতিষ্ঠান বিএলএফসিএ’র পক্ষ থেকে মোমিনুল ইসলাম করেছেন। সুতরাং, ৪০ লাখ টাকাতেই বিক্রি হলো মাশরাফির এই ব্রেসলেট।
কিন্তু অতিরিক্ত ২ লাখ টাকা আসলো কোত্থেকে? সেটাই জানিয়েছেন বিএলএফসিএ’র চেয়ারম্যান।
নিলাম অনুষ্ঠানে এসে মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘থ্যাঙ্কইউ মাশরাফি ভাই। আপনি এ দেশকে যে সম্মান এনে দিয়েছেন, সে সম্মানের প্রতিদান কোনোভাবেই হয় না। বাট এইটুকু করে (নিলামে অংশ নিয়ে) হলেও আমরা চেষ্টা করেছি আপনাকে একটুখানি হলেও সম্মান দিতে। গতকাল রাতে (শেনিবার রাতে) আমাকে আরিফ আর হোসেন কল দিয়ে বলেছিল, ম্যাশ ভাইয়ের একটা অকশন আছে, আপনাকে থাকতে হবে। তখন আমি ওকে কিছু বলিনি। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের যত সিইও আছে সবাইকে মেসেজ দিয়েছি। সবাই একবাক্যে রাজি হয়ে গেলো। সবাই একটা বিষয় বলেছে যে, একটা ভালো কিছুতে যদি ব্যয় হয়, বাংলাদেশের ক্যাপ্টেনকে যদি একটা সম্মান দেখানো যায়, আর্থিক খাতে এর থেকে আর ভালো কিছু হয় না। এই ব্রেসলেটটা হলো একটি স্যুভেনির। এটার দাম কোন ভাবেই হয় না। এটা অমূল্য। আমরা খুব খুশি যে, ৪০ লাখ টাকায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অ্যাসোসিয়েশন থেকে বিড করেছি।’
বাড়তি দুই লাখের বিষয়ে মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আইপিডিসির সঙ্গে অকশন ফর অ্যাকশনের একটা সমঝোতা আছে। ১০টা আইটেম পর্যন্ত আমরা ৫ পারসেন্ট করে এডিশনাল দেবো। সুতরাং, ৪০ লাখের সঙ্গে আরও ৫ পার্সেন্ট ২ লাখ। মোট ৪২ লাখ টাকায় এই ব্রেসলেটটা কিনতে চাচ্ছি।’
fblsk
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা