অনলাইন ডেস্ক
অথচ সেমিফাইনালে খেলারই কথা ছিল না ডামফ্রিসের। লম্বা ইনজুরি পার করে বার্সেলোনার বিপক্ষে প্রথম লেগের খেলা দিয়েই মাঠে ফিরে এসেছিলেন। আর ফিরেই দেখিয়েছেন জাদু। প্রথম লেগে অ্যাসিস্ট করতে সময় নিয়েছিলেন মোটে ৩০ সেকেন্ড। এরপর ওই ম্যাচেই ছিল তার দুই গোল।
গতকাল রাতে দ্বিতীয় লেগেও ঘরের মাঠে উজ্জ্বল ছিলেন ডামফ্রিস। ৪-৩ গোলে জয়ের দিনে ২ অ্যাসিস্ট ছিল ডামফ্রিসের। সেটাই নেদারল্যান্ডসের এই তারকাকে নিয়ে গিয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অন্যরকম এক ইতিহাসের তালিকায়। ডামফ্রিসের আগে এই রেকর্ড আছে কেবল ৩ জনের।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দুই লেগ মিলিয়ে কমপক্ষে ২ গোল এবং ২ অ্যাসিস্ট আছে মোটে ৪ জন তারকার। ১৯৯৮ সালে প্রথম এই কীর্তি গড়েন ইতালিয়ান কিংবদন্তি আলেহান্দ্রো দেল পিয়েরো। মোনাকোর বিপক্ষে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ছিল ৩ গোল এবং ১ অ্যাসিস্ট। ফিরতি লেগে ছিল ১ গোল এবং ১ অ্যাসিস্ট। সবমিলিয়ে ৪ গোল এবং ২ অ্যাসিস্ট ছিল তার।
এরপর এই কীর্তি গড়েন লিভারপুলের মোহাম্মদ সালাহ এবং রবার্তো ফিরমিনো। ২০১৮ সালে ইতালিয়ান ক্লাব রোমার বিপক্ষে দুই লেগ মিলিয়ে সালাহর ছিল ২ গোল এবং ২ অ্যাসিস্ট। আর ফিরমিনো একই সেমিতে করেছিলেন ২ গোল এবং ৩ অ্যাসিস্ট।
ডামফ্রিস এই তালিকার নতুন সংযোজন। বার্সেলোনার বিপক্ষে ২০২৫ সালে এসে সেমির দুই লেগ মিলিয়ে করেছেন ২ গোল এবং ৩ অ্যাসিস্ট। সবমিলিয়ে ৭ বছর পর আর ইতালিয়ান লিগের খেলোয়াড়দের হিসেবে ২৭ বছর পর এই কীর্তি গড়লেন ডামফ্রিস। রেকর্ড অবশ্য গড়েছে বার্সেলোনা এবং ইন্টার মিলানের মধ্যেকার সেমিফাইনালও। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে এরচেয়ে বেশি গোল দেখা যায়নি আর কখনোই। দুই দল এবারের সেমিতে দুই লেগ মিলিয়ে গোল করেছে মোট ১৩টি। এর আগে ২০১৮ সালে রোমা এবং লিভারপুলের সেমিতেও ছিল ১৩ গোল। দুইবারই অ্যাগ্রিগেট ছিল ৭-৬। ২০১৮ সালে লিভারপুল এবং ২০২৫ সালে ইন্টার মিলান গিয়েছে ফাইনালে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা