অনলাইন ডেস্ক
মঙ্গলবার (১২ মে) পরিকল্পনা কমিশনের সভাকক্ষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, ‘করোনার কারণে এডিপিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। আমরা খসড়াটি তৈরি করলাম। এনইসি সভায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এডিপি চূড়ান্ত করা হবে।’
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, ‘নতুন এডিপি’র আকার যা চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির তুলনায় ১২ হাজার ২২৪ কোটি টাকা বেশি। নতুন এডিপি’র আকার ধরা হয়েছে দুই লাখ পাঁচ হাজার ১৪৫ কোটি টাকার মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এক লাখ ৩৪ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা ও বৈদেশিক সহায়তা বাবদ ৭০ হাজার ৫০১ কোটি ৭২ লাখ টাকা খরচ করা হবে।’
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, করোনা মোকাবেলায় এবারের এডিপিতে স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে সরকার। গুরুত্বের দিক থেকে এর পরেই সর্বোচ্চ বরাদ্দ থাকছে পরিবহন খাতে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ ও তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে শিক্ষা খাত।
তথ্য মতে, ‘করোনা সংক্রমণ এবং এর প্রভাব ঠেকাতে আগামী অর্থবছরে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ১৩ হাজার ৩৩ কোটি টাকা। নতুন এডিপি’তে কৃষি খাত পাচ্ছে ৮ হাজার ৪২৪ কোটি টাকা। পরিববহন খাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে প্রায় ৫২ হাজার কোটি টাকা। বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২৫ হাজার কোটি টাকা। শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে সাড়ে ২৩ হাজার কোটি টাকা।
চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের মূল এডিপিতে বৈদেশিক সহায়তা পরিমাণ ৭১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা থাকলেও করোনার কারণে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের এডিপিতে কমছে বৈদেশিক সহায়তার বরাদ্দ কমে বরাদ্দ ধরা হচ্ছে ৭০ হাজার ৫০১ কোটি ৭২ লাখ টাকা।’
এছাড়া, ‘আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দসহ অনুমোদিত প্রকল্প যুক্ত হচ্ছে এক হাজার ৫৮৮টি (স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের ছাড়া)। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে এর পরিমাণ ছিল এক হাজার ৭৪৪টি। ফলে নতুন অর্থবছরে কমছে ১৫৬টি উন্নয়ন প্রকল্প।’
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা