অনলাইন ডেস্ক
তবে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে পছন্দমতো স্থানে একই শর্তে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হতে পারে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান আজ রাতে কালবেলা বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মতো বড় দুইটি দল তাদের কর্মূসচি কীভাবে, কখন, কোথায় করতে চায়- তা পুলিশকে লিখিতভাবে জানিয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পুলিশের কাছে দেওয়া দুই দলের চিঠি ইতিবাচকভাবে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে।
কমিশনার বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলে তাদের পছন্দের জায়গায় সমাবেশ করার অনুমতি দিতে সমস্যা নেই। তবে এখনও বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হয়নি। তা হলে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে জলকামান, সাঁজোয়া যান, কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড নিয়ে সর্বাত্মক প্রস্তুত থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা রেঞ্জের আওতায় থাকা বিভিন্ন থানায় রাখা হবে রিজার্ভ ফোর্স। সূত্র জানায়, বিজিবিকে রাখা হচ্ছে স্ট্যান্ডবাই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে মাঠে নামবে তারা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার সরকার বলেছেন, কোনো সহিংসতার শঙ্কা দেখছি না। তবে জামায়াতকে কোনোভাবেই সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
বিশৃঙ্খলা রোধে যে ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) ড. খ মহিদ উদ্দিন।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঢাকার প্রবেশপথসহ রাজধানীর ভেতরে সড়কও গলিতে টহল দিচ্ছে পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যরা।
সূত্র জানায়, রাজধানীর প্রবেশপথগুলোসহ মহাসমাবেশ ঘিরে মোতায়েন করা হবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১০-১৫ হাজার সদস্য। এ ছাড়া মহাসমাবেশের দিন জলকামান, সাঁজোয়া যান, কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড নিয়ে প্রস্তুত থাকবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। যখনই নিরাপত্তার ঘাটতি দেখা দেবে, তখনই শক্তি প্রয়োগ করা হবে।
ডিএমপির একাধিক সূত্র জানায়, বিএনপি-জামায়াতের মহাসমাবেশের দিন ঢাকার প্রবেশপথ সাইনবোর্ড, আব্দুল্লাহপুর, গাবতলী, পোস্তগোলা সেতু, বাবুবাজার সেতুসহ রাজধানীর পয়েন্টগুলোতে প্রায় ১৫ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ডিএমপির দাঙ্গা দমন বিভাগ, থানা-পুলিশ ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মূল দায়িত্বে থাকবে।
বোমা উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয়করণের জন্য প্রস্তুত থাকবে ডিএমপির বিশেষায়িত দল সোয়াটের সদস্যরা।
এদিকে রাজধানী ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থানে টহল দিচ্ছে পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা। চেক করা হচ্ছে সন্দেহভাজন নাগরিক ও ব্যক্তিগত গাড়ি। চেক করা হচ্ছে রোগীবাহী এম্বুলেন্সও।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আমিনবাজার ও আশুলিয়ায় পুলিশের চেকপোস্টের কার্যক্রম শুরু হয়। পাশাপাশি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আরেকটি চেকপোস্ট পরিচালনা করছেন র্যাব-৪ এর সদস্যরা। ইতোমধ্যে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে কেরানীগঞ্জ, সাইনবোর্ড ও আব্দুল্লাহপুর এলাকায়।
সন্ধ্যার পর থেকে মতিঝিল, পল্টনসহ বিভিন্ন এলাকায় সিএনজি, রিকশা থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা যায়।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা