অনলাইন ডেস্ক
আগামী ২৪ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের মতো লঞ্চ চলাচলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল যাত্রী পরিবহন সংস্থা। শনিবার (২২ মে) বেলা ১১টায় সদরঘাটে সংগঠনটির এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বদিউজ্জামান বাদল। তিনি এ সময় শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন বোনাস দেয়ার জন্য সংস্থার পক্ষ থেকে গত ৫ মে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য-সচিব, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও বিআইডব্লিউটিএ-এর চেয়ারম্যান বরাবর প্রণোদনার জন্য যে আবেদন করা হয়েছে তা অনতিবিলম্বে মালিকদের মাঝে বণ্টনের দাবি জানিয়েছেন।
বদিউজ্জামান বাদল আরও বলেন, ‘মরণব্যাধি করোনাভাইরাসের কারণে দেশের নৌ সেক্টরের এক ক্রান্তিকালে শরণাপন্ন হয়েছি। অর্থনৈতিকভাবে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত। বিশেষ করে নৌপরিবহনব্যবস্থা একেবারেই ধ্বংসের সম্মুখীন। আমরা সরকারকে অগ্রিম আয়কর, বিআইডব্লিউটিএকে অগ্রিম কারভেন্সি, ডিজি শিপিংকে অগ্রিম সার্ভে ও রেজিস্ট্রেশন ফি দিয়ে যাচ্ছি। লঞ্চ চলুক আর না চলুক তাতে সরকার এক টাকাও মাফ করেন না। আমরা বিভিন্নভাবে বলেছি, অন্তত মাওয়া ও আরিচা যেহেতু পারাপার সার্ভিস, সেহেতু ফেরিতে গাদাগাদি যাতে না হয়, সে জন্য লঞ্চগুলো চলাচলের ব্যবস্থা করা হোক। কিন্তু সরকার তা আমলে নেয়নি।’
বদিউজ্জামান বাদল আরও বলেন, ‘২০২০ সালেও দুই মাস লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। সে জন্য লঞ্চমালিক ও শ্রমিকদের জন্য কোনো প্রকার প্রণোদনা দেওয়া হয়নি। বর্তমানে ২০২১ সালেও আমরা শ্রমিকদের ২ মাসের বেতন ও ১ মাসের বেতনের সমপরিমাণ বোনাস দেওয়ার জন্য প্রায় ২০ কোটি টাকা প্রণোদনা চেয়েছি। কিন্তু সরকার তথা নৌ মন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটিএর পক্ষ থেকে অদ্যাবধি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।’