২০২১ সাল থেকেই দেশের সব স্কুলে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা তুলে দেয়া হচ্ছে। সরকারের নেয়া এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাথমিকের এই শিক্ষার্থীরা বিনা পরীক্ষাতেই পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবে। তবে ক্লাসে তাদের পড়াশোনার মান যাচাইয়ের ব্যবস্থা থাকবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ২০২০ সাল থেকে পাইলট প্রকল্প হিসেবে ১০০টি স্কুলে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে। নতুন পাঠ্যক্রম অনুযায়ী প্রাথমিকের তিন শ্রেণিতে প্রচলিত পরীক্ষা ব্যবস্থা থাকবে না। বরং বছর জুড়ে ক্লাসে এই শিক্ষার্থীদের দক্ষতা যাচাই করা হবে। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আচরণ, ভদ্রতা ও শৃঙ্খলাবোধের মতো বিষয়গুলোও মূল্যায়নের মাপকাঠি হিসেবে বিবেচিত হবে।
ধারাবাহিক মূল্যায়নের পদ্ধতি হলো—শ্রেণিশিক্ষক প্রতি মাসে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর শিখন অগ্রগতির মূল্যায়ন রেকর্ড করবেন, প্রতি চার মাস পর রিপোর্ট কার্ড প্রদান করবেন, যাতে অভিভাবকরা তা দেখে সন্তানের অগ্রগতি সম্পর্কে অবগত হতে পারেন।
‘শিক্ষাক্ষেত্রে ভারতের চেয়ে অনেক এগিয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা’
শিক্ষার্থীর শিখন অগ্রগতির জন্য গ্রেডিং পদ্ধতি ব্যবহার করবেন। মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক অর্থাত্ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে শোনা, বলা, পড়া, কর্মদক্ষতা ও বিষয় জ্ঞান দেখা হবে। ব্যক্তিগত গুণাবলি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, শৃঙ্খলা, শিষ্টাচার এবং বিশেষ পারদর্শিতার মূল্যায়ন করা হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে যে পদ্ধতিতে পরীক্ষা হয় তা হলো সামষ্টিক মূল্যায়ন পদ্ধতি। নির্দিষ্ট সময় শেষে এই মূল্যায়ন হয়। আগামী বছর থেকে সেটা ধারাবাহিক মূল্যায়নে যাবে।
প্রতি দিন পাঠদানের সঙ্গে সঙ্গে কিছু কাজ দিয়ে শ্রেণিকক্ষে শিশুদের মূল্যায়ন করবেন যে, ঐ পাঠের বিষয়বস্তু শিশু বুঝেছে কি না। সপ্তাহ শেষে শিক্ষার্থীর ‘শিখন যোগ্যতা’ মূল্যায়ন করে শিক্ষক তার ডায়রিতে লিখে রাখবেন।
প্রতি তিন মাস পর শিক্ষক প্রতিটি শিক্ষার্থীকে মূল্যায়ন করে একটি ‘গ্রেড’ দেবেন। এভাবে বছরে তিনটি মূল্যায়নের সমন্বয় করে শিশু পরবর্তী শ্রেণিতে পদোন্নতি পাবে।
Like & Share our Facebook Page: Facebook
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা