তাসকিনা ইয়াসমিন
২০২০ সালের প্রথম ১৯ দিনে সারাদেশে ১৬০ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ১৩৫ জন।
রবিবার ( ১৯ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপাররেশন্স সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার এতথ্য জানান।
তিনি জানান, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২৫ জন। ঢাকার ৪১ টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত ভর্তি রোগীর ২৩ জন। অন্যান্য বিভাগে বর্তমানে সর্বমোট ভর্তিরোগীর সংখ্যা ২ জন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় (১৮ জানুয়ারি সকাল ৮টা থেকে ১৯ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪ জন। এরমধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় ঢাকায় ভর্তি হয়েছে ৪ জন। ঢাকার বাইরে কোন ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যায়নি।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিধনই একমাত্র উপায় উল্লেখ করে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটে (আইইডিসিআর) এর প্রিন্সিপ্যাল সায়েন্টিফিক অফিসার ড. এ. এস. এম আলমগীর বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঘরে এবং আশপাশে যেকোনও পাত্রে বা জায়গায় জমে থাকা পানি তিন দিন পরপর ফেলে দিতে হবে। ব্যবহৃত পাত্রের গায়ে লেগে থাকা মশার ডিম অপসারণে পাত্রটি ঘষে ঘষে পরিষ্কার রাখতে হবে। অব্যবহৃত পানির পাত্র বিনষ্ট অথবা উল্টে রাখতে হবে, যাতে পানি না জমে। দিনে অথবা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে। সম্ভব হলে জানালা এবং দরজায় মশা প্রতিরোধক নেট লাগানো, যাতে ঘরে মশা প্রবেশ করতে না পারে। প্রয়োজনে শরীরের (মুখমণ্ডল ব্যতীত) অনাবৃত স্থানে মশা নিবারক ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করা যেতে পারে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম জানায়, ২০১৯ সালে সারাদেশে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ৩শ ৫৪ জন। এদেরমধ্যে ১৪৮ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এদিকে, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটে (আইইডিসিআর) এর কাছে ২০১৯ সালে ডেঙ্গুসন্দেহে ২৬৬ টি মৃত্যুর তথ্য প্রেরিত হয়েছে। এরমধ্যে আইইডিসিআর ২৩৪ টি মৃত্যু পর্যালোচনা সমাপ্ত করে ১৪৮ টি মৃত্যু ডেঙ্গুজনিত বলে নিশ্চিত করেছে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা