প্রেমিকাকে হারানোর দুঃখে গাওয়া একটি গান ২০০১ সালে এক অচেনা যুবককে পৌঁছে দিয়েছিল বাংলাদেশের ঘরে ঘরে। আর তারপর থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে আসিফ আকবর একটি জনপ্রিয় নাম। সম্প্রতি সময় সংবাদকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি নিজের সুখ-দুঃখের অনেক কথাই বলেছেন অকপটে। তার এই সাক্ষাতকারটি লাল সবুজের কথা’র পাঠকদের জন্য দেয়া হলো।
ইথুন বাবুর সাথে গ্যাপ হওয়ার কারণ কি? এমন প্রশ্নের উত্তরে আসিফ বলেন, প্রডাকশন হাউজ যা বলে সেটা আমাদের করতে হয়। একটা মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বও ছিল। পরবর্তীতে দেখলাম বাবু ভাইও একসাথে কাজ করতে চাইছেন, আমিও চাইছি। এমন না যে কোনো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ লেগে গেছে। এখন শান্তিপূর্ণ অবস্থানে আছি আমরা।
গহীনের গান সিনেমার মধ্য দিয়ে অভিনয়ে অভিষেক হয়েছে তার। প্রশ্ন ছিল বাস্তব জীবনে কেমন অভিনয় করেন তিনি?
আসিফ আকবর (হেসে) বলেন, আমি স্ট্রেটকাট। সোজা চলি। আমি অভিনয় সহ্যও করতে পারি না, করতেও পারি না।
তার রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে সময় সংবাদকে তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন সমর্থক। সেই হিসেবেই আছি। আমি আমার দলকে ভালোবাসি। বেগম জিয়ার মুক্তি চাই অবিলম্বে। আসলে দেশের জন্য যদি কিছু করতে চাই, তাহলে রাজনৈতিক দল ছাড়া কোনো প্ল্যাটফর্ম থাকে না।
জানতে চাওয়া হয়, রাজনীতি তার সঙ্গীত জীবন, অভিনয় জীবনকে কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে কিনা। তিনি বলেন, আমি হলাম আগ্নেয়গিরি, লাভা নির্গত করার সময় কাউকে জিজ্ঞেস করি না। আপনি যত আমাকে প্যাঁচাবেন, আমিও ততই প্যাঁচাতে থাকবো। বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবেশটা এখন নাই। আমরা যেটা করতে চাই, তরুণ প্রজন্ম, নাক সিটকানো প্রজন্ম- যারা বলে, বাংলা ছবি দেখি না, রাজনীতি বুঝি না, তাদের বলি, কি করতে ভালো লাগে তোমার, মায়ের আঁচলের তলে বসে থাকলে হবে না, আবার খামাখা রাজপথে গিয়ে হইচই করলেও হবে না। পলিসি থাকতে হবে, যে নিজের উন্নয়ন বাদ দিয়ে কিসে দেশের মানুষের উন্নয়ন হবে।
তিনি আরো বলেন, রাজনীতির কারণে অবশ্য আমার ক্যারিয়ারে ক্ষতি হয়েছে। ২০০১ থেকে ২০০৫ সালে বিএনপি আমলে আমি কোনো জাতীয় পুরস্কার পাইনি। এবং সবসময় ফ্রি গান করতে হতো তখন আমাকে। আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর আওয়ামী লীগের আমলে আমার শো করা বন্ধ হয়ে গেছে। আমি আসলে গত ১৭ বছর ধরে শুধু লুজার আর লুজার। তারপরও আমাকে দমিয়ে রাখা মুশকিল। কোনো রকম তত্ত্ব বা থিওরি আমাকে আটকে রাখতে পারবে না। জেলেও যেতে হয়েছে বিনা কারণে।
‘সাবাস বাংলাদেশ’- ক্রিকেটের এই গানটি নিয়ে কি বলবেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কোন মানসিকতার লোক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে আছে আমি জানি না, তারা একটা গানকে নিয়েও রাজনীতির সাথে মিলিয়ে ফেলেছে। এই গানটাও নিষিদ্ধ। এটা মানসিকতার ব্যাপার আসলে, আপনি দৈন্য মানসিকতা নিয়ে রাজনীতি করছেন, সেটা আমার মাথাব্যথা নয়, আমি কোন মানসিকতা নিয়ে রাজনীতি করছি, সেটা আমি নিজে বুঝছি, আপনারা না বুঝলেও হবে।
বিপিএল এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট নিয়ে কি বলবেন- এই প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ কখনোই পছন্দ করি না, জুয়াড়িদের স্বর্গরাজ্য ওখানে। যখন বরিশাল বুলস্ করতাম মুশফিক রেগে গেছে আমার সাথে, পাগল-টাগল বলেছে আমাকে, আমি আসলে এমনই, যেটা সত্যি সেটা বলি, কারো ভালো লাগলে লাগবে, না লাগলে না লাগবে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা