অনলাইন ডেস্ক
রবিবার (২৩ আগস্ট) সকালে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনের এই সভায় গণভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বর্বরোচিত এই হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমানই ছিল খলনায়ক । আজ রবিবার (২৩ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন’ জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এ অভিযোগ আনেন। ঢাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনের এই সভায় শেখ হাসিনা তাঁর অফিস কাম বাসভবন গণভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পেছনে আসল খলনায়ক ছিল জিয়াউর রহমান। তার সঙ্গে ছিল বেঈমান খন্দকার মোশতাক। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর জিয়াকে করা হলো সেনা প্রধান। খুনি মোশতাক হয়ে গেল রাষ্ট্রপতি। এ থেকেই বোঝা যায়, মোশতাক এবং জিয়াই এই হত্যায় জড়িত ছিল।’
মীর জাফর যেমন ইংরেজদের সঙ্গে মিলে বিশ্বাসঘাতকতা করে নবাব সিরাজ উদ দ্দৌলাকে হত্যা করেছিল, মোশতাকও জিয়ার সঙ্গে মিলে সেই কাজটাই করেছিল বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।তিনি বলেন, ‘সিরাজ উদ দ্দৌলাকে হত্যার পর ইংরেজরা নবাব বানিয়েছিল মীর জাফরকে।
কিন্তু সে তিন মাসও নবাব থাকতে পারেনি। মোশতাকেরও সেই পরিণতিই হয়েছিল। সেও তিন মাসের বেশিদিন ক্ষমতায় টিকতে পারেনি। তাকে সরিয়ে দিয়ে একই সাথে সেনাপ্রধান এবং রাষ্ট্রপতি হয়ে গেল জিয়া নিজে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জিয়াউর রহমান যে জড়িত, সেটা খুনিরাও বলেছে বলে জানান সরকার প্রধান।
প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেন, `যিনি আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন, একটি জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদার সুযোগ করে দিয়েছিলেন, এদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করছিলেন তাকেই খুনিরা হত্যা করল। পাকিস্তানিরা পারেনি।
কিন্তু জাতির পিতার যাদের প্রতি বিশ্বাস ছিল ভালোবাসা ছিল তারাই জাতির পিতাকে হত্যা করে বিশ্বাসঘাতকতা করলো। শেখ হাসিনা বলেন, `১৫ আগস্টে শুধু হত্যাকাণ্ডই ঘটানো হয়নি। ঘাতকদের উদ্দেশ্য ছিল, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধ্বংস করা।
জিয়া বেছে বেছে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সেনা অফিসারদের খুন করেছে। খালেদা জিয়াও একই পথ অনুসরণ করেছে।যে আদর্শ এবং লক্ষ্য নিয়ে বঙ্গবন্ধু এই দেশকে স্বাধীন করেছিলেন, সেই আদর্শ এবং লক্ষ্য ধ্বংস করাই ছিল খুনিদের লক্ষ্য। তারা কখনও চায়নি বাংলাদেশের উন্নয়ন হোক।
শেখ হাসিনা বলেন, খালেদ মোশারফ থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীতে মুক্তিযুদ্ধে যাদের সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল তাদেরকে বেছে বেছে হত্যা করে জিয়াউর রহমান। সেনাবাহিনীর মেধাবী অফিসারদেরও একে একে হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়া ছাত্রলিগ-যুবলিগ এবং আওয়ামি লিগের কত নেতাকর্মীকে গুম করেছে তার শেষ নেই।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই শোকাবহ যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করা হয়।অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন আসাদুজ্জামান নূর এমপি।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা