অনলাইন ডেস্ক
রোববার (৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি কাশেফা হোসেন ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নূর উস সাদিক।এর আগে এমপিওভুক্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে না পেরে ডিগ্রি কলেজের ১৫২ জন প্রভাষক এমপিওভুক্তির আবেদনের সুযোগ দেওয়া ও এমপিও দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন।পরে আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ) বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিগ্রি কলেজের (পাস) কোর্সে কর্মরত প্রভাষক ও কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির আবেদনের ক্ষেত্রে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ প্রণয়ন করে ওই নীতিমালার পরিশিষ্ট ‘খ’ এর পাদটীকা অনুসারে স্নাতক (পাস) কলেজ এমপিওভুক্তির জন্য ন্যূনতম ২টি বিভাগ চলমান থাকতে হবে। যেহেতু রিটকারীদের প্রতিষ্ঠানগুলোতে একটি বিভাগ চালু রয়েছে, তাই তারা দীর্ঘদিন কর্মরত থাকার পরও এমপিওভুক্তির আবেদন করতে পারেন নাই। অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া আরও বলেন, এমপিও ভুক্তির আবেদন করা রিটকারীদের আইনগত অধিকার, কিন্তু এসব শর্তের কারণে তারা ওই অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। যা মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন। যদিও পূর্বের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৩ ও ২০১৮ এ এই নিষেধাজ্ঞা ছিল না এবং জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৩ ও ২০১৮ অনুসারে ডিগ্রি কলেজের কর্মরত রিটকারীদের ন্যায় প্রভাষক ও কর্মচারীরা এমপিও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে সব সুযোগ সুবিধা পেয়ে আসছেন। কিন্তু রিটকারীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। এ কারণে রিট আবেদনটি দায়ের করেন।আইনজীবী বলেন,আজ এ রায়ের ফলে রিটকারীরা বিচার পেয়েছেন এবং তাদের এমপিওভুক্তির আবেদনের সুযোগ ও এমপিওভুক্তির পথ সুগম হল।নুর আলম ছিদ্দিক, মৃণাল কান্তি রায়, হারুন অর রশিদ, আহাদ আলি মন্ডল, মোকলেসুর রহমান, মুশফিকুর রহমান, শফিকুল ইসলাম, সামিউল হাসান চৌধুরী, আবদুস সালাম এবং সাইদুর রহমানসহ বিভিন্ন জেলার মোট ১৫২ জন রিটটি দায়ের করেন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা