অনলাইন ডেস্ক
রোববার (২৭ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নিত্যপণ্যের মূল্য ও পানি-বিদ্যুৎ এবং গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এই সমাবেশ হয়।
বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভোক্তাদের দাবি কোনো রকম আমলে না নিয়ে লুটপাটের পথ আরও সুগম করার জন্য আওয়ামী সরকারের আমলে গত ১৩ বছরে ১৪ বার পানির মূল্য বৃদ্ধি করা হয়। এছাড়াও বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ৭ দফায় গ্যাস, ১০ দফায় খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি করে শ্রমিক, শ্রমজীবী, স্বল্প আয়ের মানুষ ও ব্যাপক জনগণের জীবন ও জীবিকাকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বসংস্থা সমূহের নীতি-নির্দেশের ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে এসডিজি ঘোষণার পর থেকে আমাদের দেশের বাজেট প্রণয়ন করার ক্ষেত্রে সাম্রাজ্যবাদী লগ্নিপুঁজির সর্বোচ্চ লুণ্ঠন ও তার এদেশীয় দালালদের অবাধ লুটপাটের পথকে আরও বেশি প্রশস্ত করা হয়েছে। বাজেটকে জাতীয় ও জনস্বার্থমুখী করতে জাতীয় গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অগ্রসর হওয়ার বিকল্প নেই।
সমাবেশ বক্তারা আরও বলেন, বাজেট গতানুগতিক ও ধারাবাহিকতা রক্ষা করায় লাভবান হবে বা হয়ে চলেছে প্রচলিত আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার ধারক-বাহক ও কায়েমি স্বার্থবাদীরা। তার জ্বলন্ত উদাহরণ হচ্ছে ১৯৭২ সালে দেশে কোটিপতি ছিল পাঁচজন আর ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্র মতে কোটি টাকার বেশি জমা থাকা আমানতের সংখ্যা ৯৩ হাজার ৮৯০টি। এই পরিসংখ্যান থেকে বুঝা যায় প্রচলিত রাষ্ট্র ব্যবস্থায় জাতীয় বাজেটের সুফল ভোগকারী কারা। ধারাবাহিকভাবে শিক্ষা-স্বাস্থ্যের মত মৌলিক অধিকারকে সাম্রাজ্যবাদী লগ্নিপুঁজি ও দালাল পুঁজির মুনাফার স্বার্থে বাজারি পণ্যে পরিণত করে চলেছে। বর্তমানে দেশের স্বাস্থ্য খাতের মাত্র ৩৩ ভাগ সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলছে, এই সরকারি হাসপাতালগুলোও সাম্রাজ্যবাদের দোসর এনজিওদের হাতে ছেড়ে দেয়ার অপতৎপরতা চলছে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা আনোয়ার হোসেন ও পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় সদস্য আতিকুল ইসলাম টিটু।
বক্তব্য রাখেন- জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের সহ-সভাপতি খলিলুর রহমান, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সহ-সম্পাদক প্রকাশ দত্ত, বাংলাদেশে হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আখতারুজ্জামান খান, ঢাকা পোশাক প্রস্ততকারক সংঘের যুগ্ম-আহবায়ক মাহবুবুল আলম মানিক, জাতীয় ছাত্রদল ঢাকা মহানগর কমিটির আহবায়ক জহিরুল ইসলাম মুন্না।
তারা বলেন, স্বাস্থ্য ব্যয় মেটাতে গিয়ে প্রতি বছর ১ লাখ ৪৮ হাজার মানুষ নিঃস্ব হচ্ছে, তার উপর যদি সরকারি হাসপাতাল এনজিওদের হাতে ছেড়ে দেয়া হয় তাহলে সাধারণ জনগণের চিকিৎসা বলে আর কিছুই থাকবে না। বাংলাদেশের মত নয়া উপনিবেশিক দেশ সমূহে বাজেট সকল সময়ই জাতীয় ও জনস্বার্থবিরোধী হয়ে থাকে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা