অনলাইন ডেস্ক
পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত। তাই ভারতের বিকল্প হিসেবে পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ এনেছেন দেশের ব্যবসায়ীরা।
১১৬ টন পেঁয়াজ নিয়ে কনটেইনারগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে গতকাল মঙ্গলবার। জাহাজ থেকে নামিয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কনটেইনারে থাকা পেঁয়াজগুলো গতকাল সন্ধ্যায় বন্দর থেকে ছাড় নেয়া হয়েছে।
আজ বুধবার সেগুলো চট্টগ্রাম ও ঢাকার আড়তে পৌঁছাবে।রপ্তানিমূল্য এবং শুল্কহার বাড়িয়ে দেয়ায় গত ২০ আগস্ট ভারত থেকে আসা পেঁয়াজ নিয়ে দেশের বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়।
তখন পাইকারিতেই দাম কেজি ৬২ টাকায় পৌঁছায়। দাম আরও বাড়বে এই শঙ্কায় বিকল্প ১০ দেশ থেকে ৩৪ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।
মূলত ১০ বিকল্প দেশের তুলনায় পাকিস্তানের পেঁয়াজের দাম কম থাকা এবং সহজে আসার সুযোগ থাকায় সেগুলো ভারতের সঙ্গে প্রতিযোগিতা দিতে পারবে।
এর ফলে দেশের বাজারে দাম আরও কমে যাবে। এরই মধ্যে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বেড়েছে, সে হিসেবে দামও কমেছে।
চট্টগ্রাম উদ্ভিদ সংগনিরোধ দপ্তরের উপপরিচালক নাছির উদ্দিন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘দুটি চালানে ঢাকার আমদানিকারক সাদ এন্টারপ্রাইজ ১১৬ টন পেঁয়াজ এনেছে পাকিস্তান থেকে।
এই বছর পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঘটনা প্রথম। পণ্যের নমুনা জমা দিয়েছেন। আমদানিকারকের নিয়োজিত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট।
নমুনা পরীক্ষণে উদ্ভিদের জন্য ক্ষতিকর কোনো রোগ-বালাই না থাকায় আমরা ছাড়পত্র সনদ দিয়েছি। মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যেই সেগুলো বন্দর থেকে দ্রুতই ছাড় পাবে। ’
উদ্ভিদ সংগনিরোধ দপ্তরের হিসাবে, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে গতকাল পর্যন্ত ১৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭০৮ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।
এর বিপরীতে পেঁয়াজ এসেছে চার লাখ ৪৩ হাজার ৬১৩ টন। শুধু ২৩ আগস্ট থেকে গতকাল ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারত থেকেই পেঁয়াজ এসেছে ৪৬ হাজার টনের বেশি।
ভারতের বদলে বিকল্প ১০ দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি নেয়া হয়েছে ৩১ হাজার টন। এসব দেশের মধ্যে আছে নেদারল্যান্ডস, আরব আমিরাত, তুরস্ক, কাতার, মিসর, পাকিস্তান ও আমেরিকা অন্যতম।