অনলাইন ডেস্ক
শনিবার সকালে নিজের বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা দায়িত্বে থাকার সময়ে জাহানারার সহকারী একান্ত সচিব আবদুল মুকিত।
জাহানারার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তার স্বামী পিডিবির প্রকৌশলী আহমেদ মোস্তফা ১৯৮৬ সালে মারা যান।
মুকিত বলেন, “উনি সকাল ৭টার দিকে নিজের বসুন্ধরার বাসায় বাথরুমে পড়ে যান। দ্রুত তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকরা জানান, তিনি মারা গেছেন।”
জাহানারা স্মৃতিভ্রংশ বা ডিমেনশিয়ায় ভুগছিলেন বলে জানান মুকিত।
তিনি বলেন, লাশ এখন এভারকেয়ার হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বড় ছেলে দেশে ফিরলে তাকে শাহজাহানপুরের কবরস্থানে দাফন করা হবে।
ছাত্র জীবনে ছাত্র ইউনিয়নের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন জাহানারা। জাতীয় রাজনীতিতে আসার আগে দীর্ঘদিন ঢাকার হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজে অধ্যাপনা করেন তিনি।
সভাপতি হওয়ার আগে অধ্যাপক জাহানারা বেগম বিএনপির সহযোগী সংগঠন যুব মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়কও ছিলেন।
পঞ্চম জাতীয় সংসদ মহিলা সংরক্ষিত আসনে এবং ষষ্ঠ জাতীয় সংসদে রাজবাড়ী-১ আসন থেকে বিএনপির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
১৯৯১ সালে খালেদা জিয়ার সরকারের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তিনি। ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রীর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা করা হয়েছিল তাকে।
১৯৯৪ সালে থেকে তিনি বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন দল ছেড়ে যাওয়া পর্যন্ত।
২০০৬ সালের শেষে দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অলি আহমদের নেতৃত্বে যারা বিএনপি ছাড়েন, তাদের মধ্যে জাহানারা বেগমও ছিলেন। তারা এলডিপি গঠন করেন। তখন দলটির মহাসচিবও ছিলেন জাহানারা।
পরে তিনি এলডিপি ছেড়ে নাজমুল হুদার নেতৃত্বে গঠিত বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টে (বিএনএফ) কো চেয়ারম্যান হিসেবে যো্গ দেন। এরপর জাহানারা রাজনীতির থেকে দূরে যান।
জাহানারা বেগমের মৃত্যুতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, এলডিপির সভাপতি অলি আহমদ, এলডিপির আরেক অংশের সভাপতি আবদুল করীম আব্বাসী ও মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া শোক প্রকাশ করেছেন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা