অনলাইন ডেস্ক
বর্ষা ঋতু হয়ত একটু বেশিই প্রিয় ছিল হুমায়ুন আহমেদের। তার সৃষ্টিকর্মে বার বার উঠে এসেছে বর্ষার বন্দনা। এই বর্ষাকে সঙ্গী করেই চিরবিদায় নিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের উজ্জল এই নক্ষত্র।
রসায়নের মতো জটিল বিষয়ের অধ্যাপনায় জড়িত হুমায়ুন আহমেদের লেখনিতে জায়গা করে নিয়েছে মাটি, মানুষ আর প্রকৃতির নানা বৈচিত্র্য। সৃষ্টি করেছেন হিমু, মিসির আলী, বাকের ভাই, রুপার মতো জনপ্রিয় সব চরিত্র। বিজ্ঞান কল্পকাহিনী রচনাতেও পেয়েছেন জনপ্রিয়তা। তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্র ও নাটক এখনো গেঁথে আছে দর্শক হৃদয়ে।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ‘নন্দিত নরকে’ উপন্যাস প্রকাশের পরেই হুমায়ুন আহমেদ মনোযোগ কাড়েন সবার। এরপর একে একে শঙ্খনীল কারাগার, অয়োময়, বহুব্রীহি, দূরে কোথাও, ফেরা, কেউ কোথাও নেই, এইসব দিনরাত্রির মতো উপন্যাস লিখে তিনি জয় করে নেন সব শ্রেণির, সব বয়সের পাঠক হৃদয়। তার রেখে যাওয়া অমর সৃষ্টির প্রভাব বয়ে চলেছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে।
১১ বছর আগে এমন বরষার দিনেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বাংলা সাহিত্যের এই কিংবদন্তী লেখক। প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় প্রিয় লেখককে স্মরণ করছেন ভক্তরা। নেত্রকোনা এবং গাজীপুরের নূহাশ পল্লীতে রয়েছে নানা আয়োজন, চলবে দিনভর।
বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক ‘একুশে পদক’ লাভ করেন। এছাড়া তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮১), হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০), লেখক শিবির পুরস্কার (১৯৭৩), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩ ও ১৯৯৪), বাচসাস পুরস্কার (১৯৮৮) লাভ করেন।
হুমায়ূন আহমেদ এর ডাকনাম কাজল। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ও মা আয়েশা ফয়েজের সন্তান তিনি। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা, আর মা ছিলেন গৃহিণী। তিন ভাই দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। কথাসাহিত্যিক জাফর ইকবাল তাঁর ছোট ভাই। সবার ছোট ভাই আহসান হাবীব নামকরা কার্টুনিস্ট ও রম্যলেখক।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা