অনলাইন ডেস্ক
মাঠ জুড়ে চলছে বোরো চাষের জমি তৈরির প্রস্তুতি। জমির আইল কোদাল দিয়ে সমান করা, পানি সেচ, হালচাষ, বীজতলা থেকে চারা সংগ্রহ, জৈব সার, চারা রোপনের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন কৃষকরা। যেন চিরসবুজ ফসলের মাঠ তৈরিতে চলছে পাওয়ার র্টিলার ও ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষের কাজ। শ্যালো মেশিন ও গভীর নলকূপ দিয়ে চলছে পানিসেচ। আবার কোথাও কোথাও ধানের কচি চারা বাতাসে দুলছে। এ এক উৎসব মেতে উঠেছে কৃষকরা।
তবে কৃষকরা জানান, রাসায়নিক সার ও ডিজেল তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে এ বছরে লাভ কম হবে। তারা আরো জানান সরকার যদি সঠিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে তাহলে একটু সাশ্রয় হবে এবং বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন তারা।
বোরো মৌসুমে ইট ভাটার কারণে শ্রমিক এর সংকট দেখা দিয়েছে। বেশির ভাগ শ্রমিক ইট ভাটা কাজ করে। ৩০০ টাকা মূল্যের একজন শ্রমিককে ৫০০ টাকা দিলেও পাওয়া যায়না। সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকালের হাড়কাঁপানো শীতকে উপেক্ষা করে সন্ধ্যা পর্যন্ত বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। দল বেঁধে বোরো ধানের চারা রোপন করছেন তারা। কেউ বীজতলা থেকে চারা সংগ্রহ করছেন। কেউ পানির পাম্প রাখার জন্য ঘর তৈরি করছেন। আবার কেউ জমিতে সার প্রয়োগে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
উপজেলার বাড়াই পাড়া এলাকার কৃষক শ্রী রাম চন্দ্র বলেন, আমি বোরো ধান গারতেছি (লাগাইতেছি) এখনো কিছু বাকি আছে। তবে সার, ডিজেলের যে দাম তাতে লাভ কম হবে। তবে সরকার যদি বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক মতো দেয় তাহলে একটু সাশ্রয় হবে।
এ বিষয়ে আরোক কৃষক সুশীল মোহন্ত বলেন, বোরো ধান আবাদে খরচ বেশি। সেই তুলনায় ধানের সঠিক মূল্য পেলে লাভবান হবো।
হাতীবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার উমর ফারুক বলেন, বোরো ধান রোপণ শুরু হয়েছে। আশা করছি এবছর বোরো ধানের ভালো ফলন হবে। চলতি মৌসুমে হাতীবান্ধা উপজেলায় ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা