চলতি বছর সীমান্তে ২ হাজার ৫০ বারের বেশি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গোলাবর্ষণ করেছে পাকিস্তান। এতে ভারতের সেনাবাহিনীর সদস্য ও বেসামরিক অন্তত ২১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
২০০৩ সালে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলার জন্য পাকিস্তানের প্রতি ভারত বারবার অনুরোধ জানালেও তা উপেক্ষা করেছে ইসলামাবাদ।
রবিবার বিজেপি সরকার এ তথ্য জানিয়েছেন। পাকিস্তান জাতিসংঘের এক বৈঠকে কাশ্মীর সঙ্কট তুলে ধরার পরদিন ভারত এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করলো।
জাতিসংঘের ওই বৈঠকে ভারতের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ জানিয়েছে পাকিস্তান। তবে ভারত পাকিস্তানের এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করে সীমান্তে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গোলাবর্ষণ ও সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আমরা আমাদের উদ্বেগের কথা জানাতে চাই পাকিস্তান সেনােদের অকারণ যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের বিষয়ে। এছাড়া আন্তঃসীমান্ত জঙ্গি অনুপ্রবেশ এবং ভারতীয় নাগরিক ও সীমান্তের ছাউনিতে আক্রমণে মদত দেওয়া।
বিজেপি মুখপাত্র বলেন, চলতি বছরে পাকিস্তান ২ হাজার ৫০ বারের বেশি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে; এতে ২১ ভারতীয় প্রাণ হারিয়েছেন। ২০০৩ সালের যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে নিয়ন্ত্রণ রেখা ও আন্তর্জাতিক সীমানায় শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য আমরা বারবার পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।
তিনি বলেন, বিনা উসকানিতে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন ও সন্ত্রাসীদের অবৈধ অনুপ্রবেশের জবাবে ভারতীয় সামরিক বাহিনী সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন করেছে।
এদিকে রবিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে কাশ্মীর সঙ্কট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। একই সঙ্গে এই বিরোধ ভারত-পাকিস্তান সঙ্কটের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসায় পারমাণবিক যুদ্ধের শঙ্কা এবং যুদ্ধ হলে পুরো বিশ্বই ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।
পাকিস্তানের এই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কাশ্মীর পরিস্থিতি মোকাবেলায় তার দেশের হাতে সীমিত বিকল্প রয়েছে। পারমাণবিক অস্ত্রধারী দুই প্রতিবেশি দেশের মাঝে আকস্মিক পারমাণবিক যুদ্ধ বাধতে পারে বলে পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির মন্তব্যের ব্যাপারে জানতে চাইলে ইমরান খান বলেন, একেবারে সত্য। কাশ্মীরে যা ঘটছে, সেটি হলো সেখানে কম কিংবা বেশি গণহত্যা চালাচ্ছে ভারত। সেখানে মানুষের ওপর জাতিগত হামলা হচ্ছে। আমি মনে করি, জার্মান নাৎসি শাসনের পর এ ধরনের হামলা দেখা যায়নি।
কাশ্মীরের উপর থেকে বিশেষ মর্যাদা সম্পর্কিত সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
NB:This post is collected from bd-pratidin
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা