অনলাইন ডেস্ক
আমদানি দর ও বাজারদরের এমন পার্থক্যের বিষয়ে জানতে চাইলে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় সহসভাপতি নাজের হোসাইন প্রথম আলোকে বলেন, এমন কম দর ঘোষণা করে ব্যবসায়ীরা যেন শায়েস্তা খাঁর আমল ফিরিয়ে আনছেন। অথচ এখন যেকোনো পণ্যের আন্তর্জাতিক দর জানা যায় সহজে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ চাইলে সহজেই এই ফাঁকি শনাক্ত করতে পারে।
অর্থনীতিবিদ ও কাস্টমস কর্মকর্তারা বলছেন, মূলত শুল্ক ফাঁকি দিতে কাগজপত্রে অস্বাভাবিক কম দর ঘোষণা দিচ্ছেন আমদানিকারকেরা। এ ক্ষেত্রে প্রকৃত কেনা দাম বাবদ বাকি অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে পাচার হচ্ছে।
সম্প্রতি চট্টগ্রামের ফলমন্ডিতে জেলা প্রশাসনের অভিযানে খেজুরের আমদানি ও বাজারদরের এমন তফাতের বিষয়টি ধরা পড়ে। এরপর কাস্টমসে খোঁজ নিয়ে অস্বাভাবিক কম দামে খেজুর, বাদাম ও শুঁটকি আমদানির তথ্য পাওয়া যায়।
দেশে যত কাজুবাদাম আমদানি হয়, তার অধিকাংশই আসে ভিয়েতনাম থেকে। ভিয়েতনাম ক্যাশো অ্যাসোসিয়েশন নিয়মিত তাদের রপ্তানির চিত্র প্রকাশ করে। সংগঠনটির হিসাবে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে তারা বাংলাদেশে প্রতি কেজি কাজুবাদাম গড়ে ৫ ডলার ৮৩ সেন্টে (প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য ১০৬ টাকা হিসাবে এ দাম দাঁড়ায় ৬১৭ টাকা) রপ্তানি করেছে। যদিও চলতি ২০২২–২৩ অর্থবছরে এই দরে একটি চালানও আমদানি হয়নি।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা