অনলাইন ডেস্ক
এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড ও সহযোগী প্রতিষ্ঠান অক্সফাম বাংলাদেশ এবং স্থানীয় সহযোগী প্রতিষ্ঠান সানক্রেড ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন পরীক্ষামূলক আকারে সম্প্রতি সিলেটের সুনামগঞ্জের তাহিরপুর হাওর এলাকায় ৩১৬ জন কৃষককে সূচকভিত্তিক শস্য বীমার আওতায় নিয়ে এসেছে।
হাওর এলাকায় বন্যার ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকিকে আর্থিক মূল্যে রূপান্তর করে গ্রীন ডেল্টা অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও নদীসৃষ্ট বন্যা হতে সৃষ্ট সম্ভাব্য ক্ষতি নিরসনের লক্ষ্যে ২৮শে এপ্রিল ২০২০ থেকে ২২শে মে ২০২০ পর্যন্ত বীমা সুবিধাটি প্রদান করবে। এই বীমার আওতায় ফসলের ক্ষতি হলে বীমাকৃত কৃষক অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত এবং বন্যার পানির উচ্চতা ও স্থায়ীত্বের উপর নির্ভর করে বীমাদাবী পেতে পারেন।
নদীসৃষ্ট বন্যার ক্ষেত্রে ৬.৮ মিটারের বেশি পানি থাকলে এবং অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ক্ষেত্রে টানা ৩ দিনে ১২৫ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হলে সর্বোমোট ক্ষয়ক্ষতির উপর স্থায়িত্বভেদে সর্বোচ্চ ১২,০০০ টাকা পর্যন্ত বীমাদাবি পাবেন। নদীসৃষ্ট বন্যার পানির উচ্চতা ও অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত পরিমাপের জন্য ওয়াটার লেভেল স্টেশন ও স্যাটেলাইট ভিত্তিক তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করা হবে, যা বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্কাইমেট ওয়েদার সার্ভিসেস লিমিটেড গ্রীন ডেল্টাকে প্রদান করবে। এছাড়াও ইতিপূর্বে বিগত বছরের আগস্ট মাসে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি অক্সফাম ও এসকেএস ফাউন্ডেশনের সহায়তায় গাইবান্ধার ফুলছড়ি ও সাঘাটা এলাকায় ৭৫০ জন কৃষককে সূচকভিত্তিক শস্য বীমা প্রদান করে।
করোনাভাইরাস সংক্রমনের জন্য সৃষ্ট মহামারীতে কৃষকগোষ্ঠী চরম দুঃখ-দুর্দশার মধ্যে দিনাতিপাত করছে এবং এমতাবস্থায় বন্যায় ফসল নষ্ট হলে তারা আর্থিকভাবে আরো কঠিন অবস্থার সম্মুখীন হবে। সূচক ভিত্তিক শস্য বীমা বন্যা হতে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি নিরসনের মাধ্যমে হাওর এলাকার অসহায় কৃষকদের পরবর্তী দিনগুলোতে আশার আলো হবে বলে গ্রীন ডেল্টার প্রত্যাশা।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা