হলিউড ও বলিউডে নায়ক-নায়িকাদের মধ্যে প্রেম, ভালবাসা ও বিয়ে খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। বন্ধুত্ব-প্রেম-বিয়ে তারপর কিছুদিন না যেতেই বিচ্ছেদ। বিনোদন জগতে এ যেন এক সাধারণ ঘটনা।
হলিউড ও বলিউডের ইন্ডাস্ট্রিতে এই ধরনের চিত্র উল্লেখযোগ্য হারে দেখা যায়। এছাড়া বহুবিবাহ ও বিচ্ছেদের ঘটনাও নেহাত কম নয়। একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে ভালোলাগা, তা থেকে ভালোবাসা, তারপর বিয়ে এবং একপর্যায়ে বিচ্ছেদ।
তাদের সম্পর্ক গড়তে যেমন সময় নেয় না ঠিক তেমনি সম্পর্ক ভাঙতেও সময় লাগে না। আলোচিত কয়েক হলিউড ও বলিউড নায়ক-নায়িকাদের সম্পর্কেও কিছু জেনে নেয়া যাক।
লানা টার্নার: ১৯৪০ সাল নাগাদ লানা টার্নার হলিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী হয়ে ওঠেছিলেন। তিনি অভিনয়ে যেমন ছিলেন পটু, বিয়ের ক্ষেত্রেও তাই। সব মিলিয়ে তিনি মোট আট বার বিবাহবিচ্ছেদ করেছিলেন। এর মধ্যে দুইবার তিনি একই ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। নয় নম্বর স্বামীর সংসারে থাকাকালীন তার মৃত্যু হয়। জীবদ্দশায় বহুবিবাহ ও বিচ্ছেদ সম্পর্কে এই অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘আমার লক্ষ্য ছিল একজনকে বিয়ে করে সাত সন্তানের মা হওয়ার। কিন্তু হয়েছে ঠিক উল্টোটা।’
পঞ্চম বিয়ে করলেন পামেলা অ্যান্ডারসন
এলিজাবেথ টেলর: হলিউডের সর্বকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের একজন হলেন এলিজাবেথ টেলর। বিয়ে ও বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে তিনিও পিছিয়েও নেই। টেলর সব মিলিয়ে আট বার বিয়ে করেছেন এবং সাত বার বিবাহবিচ্ছেদ। আটবারের মধ্যে পরপর দুইবার তিনি বিয়ে করেন কিংবদন্তি রিচার্ড বার্টনকে। এই দুটি বিয়ে টেকে তিন বছর। এলিজাবেথ টেলরের দাবি, ‘আমি অত্যন্ত কমিটেড একজন স্ত্রী। পরেও তাই থাকব। এতগুলো বিয়ের পরেও আমি তাই-ই আছি।’
ল্যারি কিং: ছোটপর্দার একসময়কার একচ্ছত্র অধিপতি অভিনেতা ল্যারি কিং। সব মিলিয়ে তিনি মোট সাত বার বিয়ে এবং ছয় বার বিবাহবিচ্ছেদ করেন। তার ছয় নম্বর স্ত্রী শন সাউথউইকের সঙ্গে বিয়ের দশ বছর পর বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছিলেন। কিন্তু পরে ক্লান্ত হয়ে সেটার শুনানিতে যাননি। ছয় নম্বর স্ত্রী সম্পর্কে অভিনেতা ল্যারি কিং বলেছিলেন, ‘শন সাউথউইকই একমাত্র আমার সঙ্গে দুই সংখ্যার বছর কাটাতে পেরেছে। কারণ আমাদের মধ্যে বোঝাপড়া অন্য স্ত্রীদের চেয়ে তুলনামূলক ভালো ছিল।’
হৃত্বিক রোশন ও সুজান খান: ১৩তম বিবাহবার্ষিকীর আগেই সুজানের থেকে আলাদা হওয়ার কথা শুনিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন হৃত্বিক। ২০০০ সালে বিয়ের পর তা শেষ হয় ২০১৪ সালে। ১৪ বছরের বিবাহিত জীবন শেষ করার আসল কারণ জানা না গেলেও তারা যে এখনও পরস্পরের বন্ধু রয়েছেন তা স্বীকার করেন দু’জনই। তবে বিবাহ বিচ্ছেদের পর সুজানের ভরণ পোষণের জন্য হৃত্বিককে ৪০০ কোটি রুপি দিতে হয়। যদিও পরবর্তীতে হত্বিক এসব খবরকে কেবল গুজব বলেই উড়িয়ে দেন।
আমির খান ও রীনা দত্ত: প্রথম স্ত্রী রীনার সঙ্গে আমিরের বিয়ে হয় ১৯৮৬ সালে। আমিরের বয়স তখন মাত্র ২১ বছর। বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেন রীনাকে। সঙ্গে ছিলেন কয়েক জন বন্ধু। তাদের ১৬ বছরের সংসার ভেঙে যায় ২০০২ সালে। ডিভোর্সের মামলা দায়ের করার পর ৫০ কোটির ভরণ পোষণ চেয়েছিলেন রীনা। তবে শেষ পর্যন্ত ঠিক কত টাকায় রফা হয়েছিল তা জানাতে চায়নি কোনো পক্ষই।
৭৫ বছর বয়সে বিয়ে করলেন অভিনেতা দীপঙ্কর দে (ভিডিও)
সঞ্জয় দত্ত ও রিয়া পিল্লাই: বিবাহিত থাকাকালীন সময়ে দু’জনই জড়িয়ে পড়েছিলেন পরকীয়ায়। সঞ্জয়ের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে মান্যতার। অন্য দিকে, টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজের সঙ্গে প্রেম চলছিল রিয়ার। ১৯৯৮ সালে বিয়ের পর থেকেই তাদের নিয়ে নানা রসালো কাহিনিতে ট্যাবলয়েডের পাতা ভরে গিয়েছিল। ২০০২ সালে ডিভোর্সের সময় ৮ কোটি রুপি ভরণ পোষণ পান রিয়া।
কারিশমা কাপুর ও সঞ্জয় কাপুর: ১৩ বছরের দাম্পত্য জীবন যে এমন তিক্ততার মধ্যে শেষ হবে তা কে জানতো! শিল্পপতি সঞ্জয়ের সাথে ২০০৩ সালে বিয়ে হয় কারিশমার। দু-তরফের দোষারোপের পালা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। শেষমেশ গত বছরের জুনে তাদের ডিভোর্স হয়। সঞ্জয়ের একটি বাড়ি ছাড়াও ১৪ কোটি রুপির বন্ড পান কারিশমা। তার বদলে ছেলেমেয়ের সঙ্গে ছুটি কাটানোর সুযোগ পান সঞ্জয়।
সাইফ আলী খান ও অমৃতা সিংহ: অমৃতাকে প্রথম দেখার পর তাকে ফোন করে ডিনারের প্রস্তাবটা দিয়েছিলেন সাইফ। কিন্তু তাতে না বলে দেন অমৃতা। জেদ করেই তার বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন সাইফ। ডিনার সেরে আর নিজের বাড়ি ফেরেননি তিনি। নব্বইয়ের দশকে তাদের লিভ-টুগেদারের সেই শুরু। এরপর বিয়ে। ১৩ বছরের ছোট সাইফের সঙ্গে অমৃতার ঘর করা ১২ বছরের। সেই সম্পর্ক শেষ হয় ২০০৪ সালে। ডিভোর্সের সময় ৭ কোটি রুপি ভরণ পোষণ নিয়েছিলেন অমৃতা।
Like & Share our Facebook Page: Facebook
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা