সড়ক দূর্ঘটনায় গত ২ মাসে নিহত হয়েছে ১০২৭ জন। এদের মধ্যে জানুয়ারিতে ৪৮৭ জন এবং ফেব্রুয়ারিতে ৫৪০ জন নিহত হয়েছেন। আর দুই মাসে আহত হয়েছেন যথাক্রমে ৬২২ ও ৬৭৯ জন। সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা ছিল জানুয়ারিতে ৩৫৭ এবং ফেব্রুয়ারিতে ৩৯৮ টি।
গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশের (জিসিবি) তৈরি করা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে দেশব্যাপী ৭৫৫ সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪১ নারী ও ১৬৬ শিশু মারা গেছেন। সেই সাথে আহত হয়েছেন ১,৩০১ জন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন মহাসড়ক, জাতীয়, আন্তজেলা ও আঞ্চলিক সড়কগুলোতে মূলত বেপরোয়া গাড়ি চালানো এবং সড়ক ও মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও তিন চাকার যান বেড়ে যাওয়ার কারণে দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে।
সড়ক দুর্ঘটনার জন্য জিসিবি ১০ প্রধান কারণ চিহ্নিত করেছে। যার মধ্যে রয়েছে- সড়ক ও মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও তিন চাকার যান বেড়ে যাওয়া, ব্যস্ত সড়কে স্থানীয়ভাবে তৈরি ইঞ্জিনচালিত যান চলাচল, চালকদের বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো ও প্রতিযোগিতা, ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি চলাচল বন্ধে আইন প্রয়োগের অভাব, লাইসেন্স না থাকা চালক নিয়োগ এবং অদক্ষ চালক বা কন্ডাক্টরদের কাছে দৈনিক চুক্তি ভিত্তিক গাড়ি ভাড়া দেওয়া।
কারণগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে- ট্রাফিক বিধি লঙ্ঘন করে অতিরিক্ত বোঝাই ও চালকদের ওভারটেকিং, বিরতি ছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ি চালানো, পথচারী ও ছোট গাড়ির চালক বিশেষ করে মোটরসাইকেল চালকদের মধ্যে সচেতনতার অভাব, দূরপাল্লার সড়ক ও জনবহুল এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন এবং দেশের বিভিন্ন এলাকায় সড়কের বেহাল দশা।
জিসিবির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাব যে মূলত চালকদের বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানো ও প্রতিযোগিতার মনোভাবের কারণে এসব ঘটেছে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা