দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার স্বপ্নের পালে জোর হাওয়া লেগেছে বোলারদের সৌজন্যে। দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে বার্মিংহামে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়াকে আটকে রেখেছে তারা ২২৩ রানে।
অস্ট্রেলিয়া এই পর্যন্ত যেতে পেরেছে মূলত স্মিথের সৌজন্যেই। দ্বিতীয় ওভারে উইকেটে গিয়ে ৪৮তম ওভারে রান আউট হওয়ার আগে স্মিথ করেছেন ৮৫ রান।
নতুন বলে আগুন ঝরিয়েছেন ক্রিস ওকস ও জফরা আর্চার। গতি, বাউন্স আর ছোট সুইং মিলিয়ে গুঁড়িয়ে দেন তারা অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডার। দুই পেসার ভাগাভাগি করেছেন ৫ উইকেট। মাঝে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি উইকেট নিয়েছেন লেগ স্পিনার আদিল রশিদ।
অস্ট্রেলিয়া ব্যাটিংয়ে নেমেছিল টস জিতে। আগে ব্যাটিংয়ের ইচ্ছে ছিল ওয়েন মর্গ্যানেরও। তবে নতুন বলের দুই বোলারের বোলিং দেখে নিশ্চয়ই টস হারকে আশীর্বাদ মনে হয়েছে ইংল্যান্ড অধিনায়কের!
ইনিংসের প্রথম বলে বাউন্ডারিতে শুরু করেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। এরপর থেকেই ওকস ও আর্চারের দাপট।
ইনিংসের দ্বিতীয় আর নিজের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই আর্চার ফেরান অ্যারন ফিঞ্চকে। টুর্নামেন্টে পাঁচশর বেশি রান করা অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক ফিরেছেন শূন্য রানে। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা আরেক ওপেনারকে ওয়ার্নারকে ৯ রানে থামায় ওকসের বাড়াতি লাফানো বল।
চোট পাওয়া শন মার্শের বদলি হিসেবে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাওয়া পিটার হ্যান্ডসকম সুযোগ পেয়ে যান সেমি-ফাইনালে খেলার। কিন্তু রাঙাতে পারেননি বিশ্বকাপ অভিষেক। ওকসকে শরীর থেকে দূরে ড্রাইভ খেলতে গিয়ে হয়েছেন বোল্ড। সপ্তম ওভারে অস্ট্রেলিয়ার রান তখন ৩ উইকেটে ১৪।
ওকস ও আর্চারের বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়া ছিল প্রায় দম বন্ধ অবস্থায়। দুই প্রান্ত থেকে দুজন মিলে টানা করেছেন ১১ ওভার। অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল ৩ উইকেটে ২৮।
বোলিং পরিবর্তনের পর একটু শ্বাস নেওয়ার সুযোগ পান ব্যাটসম্যানরা। স্মিথ ছন্দ পেতে শুরু করেন। ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পেয়ে পাঁচে নামা অ্যালেক্স কেয়ারিও ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে সঙ্গ দেন।
দুজনের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় অস্ট্রেলিয়া। আর্চারের বাউন্সার কেয়ারির থুতনিতে ছোবল দিয়ে রক্তাক্ত করার পর ব্যান্ডেজ বেঁধে ব্যাটিং চালিয়ে যান এই কিপার ব্যাটসম্যান। ১০৩ রানের জুটির শেষটা অস্ট্রেলিয়ার জন্য হতাশার। দারণ খেলতে খেলতেই রশিদকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সীমানায় ধরা পড়েন ৪৬ রান করা কেয়ারি।
ওই ওভারেই আসে আরেকটি উইকেট। মার্কাস স্টয়নিসের বাজে সময় দীর্ঘায়িত হয় রশিদের গুগলিতে বিভ্রান্ত হয়ে আউটে।
সাতে নামা ম্যাক্সওয়েল চেষ্টা করেছেন নিজের মতো ব্যাটিংয়েই। তাকে ফেরাতে আর্চারকে আক্রমণে ফেরান মর্গ্যান। আর্চার অধিনায়ককে কাঙ্ক্ষিত উইকেট এনে দেন দারুণ এক স্লোয়ারে।
এক প্রান্তে অসহায় দাঁড়িয়ে থাকা স্মিথ এরপর সঙ্গী পান মিচেল স্টার্ককে। দুজন মিলে দুইশ পার করান দলকে। অষ্টম উইকেটে গড়ে ওঠে ৫১ রানের জুটি।
শেষ দিকে হয়তো রান আরেকটু বাড়াতে পারতেন স্মিথ। কিন্তু কিপার জস বাটলারের সরাসরি থ্রো তাকে থামিয়ে দেয় ৮৫ রানে। পরের বলেই বিদায় নেন ২৯ রান করা স্টার্ক। শেষ দিকে তাই আর বেশি বাড়েনি অস্ট্রেলিয়ার রান।
বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে কখনই আগে হারেনি অস্ট্রেলিয়া। এবার সেই রেকর্ড অক্ষুন্ন রাখার খানিকটা সুযোগ এনে দিয়েছে স্মিথের ইনিংসটিই। তবে ইংলিশরা জানে, সুযোগটা তাদেরই বেশি। একটু ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাটিং করলেই সামনে লর্ডসের ফাইনাল!
NB:This post is copied from bangla.bdnews24.com
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা