অনলাইন ডেস্ক
বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তদন্তকারী এ সংস্থার সাইবার ক্রাইম পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কুমার দাস।
তিনি বলেন, ‘এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি, ১৯৮৮ সাল থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অধীনে একটি প্রেস থেকে মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ছাপানো হয়। ওই প্রেসে চাকরি করে এমন সদস্যদের পরিবারের সদস্যরা হয়তো এসব কাজে যুক্ত থাকতে পারে।’
সুমন কুমার দাস বলেন, ‘গ্রেফতার হওয়া চক্রের সদস্যরা ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ছাপাখানা থেকে মেডিকেল ও ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে আসছিল। প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের মূলহোতা জসিম উদ্দিন ভূইয়া মুন্নুর অর্ধশত কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। যা মানিলন্ডারিং মামলার তদন্ত করছে সিআইডি।’
তিনি বলেন, ‘২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে আমরা তদন্ত শুরু করি। ওই মামলায় ১২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় সিআইডি। যার মধ্যে গ্রেফতার হয়েছিল ৪৭ জন। এদের মধ্যে ৪৬ জনই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। ২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিপরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় তদন্ত করার সময়ে ২০১৮ সালে একটি চক্রের সন্ধান পায় সিআইডি। গত ১৯ জুলাই এস এম সানোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে সাইবার পুলিশ।’
সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার সানোয়ার ২০১৩, ২০১৫ ও ২০১৭ সালের মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২০ জুলাই রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে জসিম উদ্দিন ভুঁইয়া মুন্নু, পারভেজ খান, জাকির হোসেন দিপু এবং সামিউল জাফর সিটুকে গ্রেফতার করা হয়।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা