ঢাকাই চলচ্চিত্রের নব্বই দশকের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনূর ৮ বছরের সংসার জীবনের ইতি টেনেছেন। গত ২৬ জানুয়ারি স্বামী অনিক মাহমুদ হৃদয়কে তালাক দিয়েছেন শারমীন নাহিদ নূপুর ওরফে শাবনূর।
নিজের সই করা নোটিশটি অ্যাডভোকেট কাওসার আহমেদের মাধ্যমে স্বামীকে পাঠিয়েছেন তিনি। নোটিশে অনিকের সঙ্গে ‘বনিবনা হয় না’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সিনেমা জগতের বাইরের একজনকে বিয়ে করে সুদূর অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন এক সময়ের রূপালি পর্দা কাঁপানো এই অভিনেত্রী। তাদের এক সন্তানও রয়েছে।
স্বামীকে তালাক দেয়ার কারণও উল্লেখ করেছেন শাবনূর। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তালাকের নোটিশ এবং হলফনামা প্রস্তুতকারী অ্যাডভোকেট কাওসার আহমেদ।
তালাক নোটিশে শাবনূর বলেছেন- ‘আমার স্বামী অনিক মাহমুদ হৃদয় সন্তান এবং আমার যথাযথ যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ করেন না। সে মাদকাসক্ত। অনেকবার মধ্যরাতে মদ্যপ অবস্থায় বাসায় এসে আমার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়েছে। আমাদের ছেলের জন্মের পর থেকে সে আমার কাছ থেকে দূরে সরে থাকছে এবং অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে আলাদা বসবাস করছেন।’
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে থাকছেন যারা
নেটিশে আরো বলা হয়- ‘নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং সুন্দর জীবনের জন্য তার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছেদ করতে চাই। মুসলিম আইন এবং শরিয়ত মোতাবেক আমি তাকে তালাক দিতে চাই। আজ থেকে সে আমার বৈধ স্বামী নয়, আমিও তার বৈধ স্ত্রী নই।’
জানা গেছে, নোটিশের অনুলিপি অনিকের এলাকার আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান এবং কাজী অফিস বরাবরও পাঠানো হয়েছে। ডিভোর্স নোটিশ বিষয়ে শাবনুরের এসব অভিযোগ বিষয়ে অনিক কিংবা দুজনের পরিবারের কোনো সদস্য থেকে বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর অস্ট্রেলীয় প্রবাসী অনিক মাহমুদ হৃদয়কে বিয়ে করেন শাবনূর। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর এ দম্পতির আইজান নিহান নামে এক ছেলে হয়। ছেলেকে নিয়ে এখন অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করছেন শাবনূর।
নব্বই দশকের এ চিত্রনায়িকা ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘তোমাকে চাই’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘নিঃশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি’, ‘দুই নয়নের আলো’সহ বেশ কিছু দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দেন।
Like & Share our Facebook Page: Facebook
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা
