অনলাইন ডেস্ক
খেলার শুরুতে সাইফ স্পোর্টিং প্রাধান্য বিস্তার করে খেলতে শুরু করে। ১ ও ১৪ মিনিটে তাদের দুটি গোলের সুযোগ হাতছাড়া হয় মিরাজ ও গফুরভের কারনে। মিরাজের দুর্বল শট চলে যায় আবাহনীর গোলরক্ষক মাহফুজ হাসান প্রীতমের হাতে। আর উজবেকিস্তানের গফুরভ শট নিতে দেরি করায় গোলের সুযোগ অপচয়। এরপর আবাহনী ঘুরে দাঁড়িয়ে দুই অর্ধে দুই সেট পিসে জোড়া গোল আদায় করে।
২৫ মিনিটে বক্সের বাইরে ফ্রি-কিক পায় আবাহনী। এই স্পট কিক নিতে আসেন রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলা ড্যানিয়েল কলিনড্রেস। তার নেয়া ডান পায়ের মাপা শটে কোনো বাধাই হতে পারেনি সাইফের দেয়াল এবং গোলরক্ষক মিতুল হাসান। কোস্টারিকার ফুটবলারটির শট পোস্ট ঘেঁষে আশ্রয় নেয় জালে। ৩৭ মিনিটে কলিনড্রেসের ফ্রি-কিকে সুশান্ত ত্রিপুরার হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট। এরপর সাইফ স্পোর্টিংয়ের দুটি গোলের চেষ্টা ব্যর্থ হয় মিরাজের দুই শট আবাহনীর কিপার কর্তৃক বাধাপ্রাপ্ত হলে। দিয়েগো ক্রুসিয়ানীর দলের ম্যাচে ফেরার চেষ্টা বিফলে যায় ৮২ মিনিটে কলিনড্রেস-জীবন কম্বিনেশনে। কলিনড্রেসের নেয়া নিচু ফ্রি-কিকে স্টাইকার নাবিব নেওয়াজ জীবনের ডান পায়ের টোকায় পরাস্ত বিপক্ষ কিপার। ৮৯ ও ৯১ মিনিটে জীবন ও রাফায়েল গোল মিস করায় ব্যবধান বাড়েনি।
আবাহনী–সাইফ দুই দলই আজ ভুগেছে স্ট্রাইকার–সংকটে। চোটের কারণে খেলতে পারেননি আবাহনীর ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ডোরিয়েলটন গোমেজ ও সাইফের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমেকা ওগবুগ। মূল স্ট্রাইকারের অভাবে জামাল ভূঁইয়া ও মারাজ হোসেনকে পালাক্রমে ‘ফলস নাইন’ হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছেন দিয়েগো আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানি।
২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ স্বাধীনতা কাপে আবাহনীর কাছে ১–০ গোলে হেরেই কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল সাইফ। এবার বিদায় নিল সেমিফাইনাল থেকে। সেবার বসুন্ধরা কিংসের কাছে হেরে সেমিফাইনালে থেমেছিল আবাহনীর যাত্রা। এবার তারা ফাইনালে। ১৮ ডিসেম্বর শিরোপার লড়াইয়ে আবাহনীর প্রতিপক্ষ বসুন্ধরা কিংস ও বাংলাদেশ পুলিশ ক্লাবের মধ্যকার জয়ী দল।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা