অনলাইন ডেস্ক
আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ‘’ জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ঊনিশে মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির উদ্যোগে ও বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরাম (বিজেআরএফের) সহায়তায় এ মতবিনিময় ও আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুনের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ও সংগঠনের পৃষ্ঠপোষক মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও ডেইলী অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিজেআরএফ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সাত্তার মিয়া, শ্রমিক নেতা ওসমান আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. লতিফ হাসান চৌধুরী, এ্যাডভোকেট আইয়ুবুর রহমান, অধ্যাপক মুকুল কুমার মল্লিক, সাংবাদিক মোঃ আশরাফ আলী। সংগঠনের সমন্বয়কারী আতাউর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক এম এ বারী সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর এই বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও ১০জানুয়ারী বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগার থেকে ৮ জানুয়ারি মুক্তি পেয়ে ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশে আসার পর বাঙালী জাতি তার মুক্তির স্বাদ পেয়েছিলো।
তিনি বলেন মহান স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সূচনার তৃণমূল চিত্র এবং জাতীয় ইতিহাস সংরক্ষণ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে সংঘটিত দেশের তৃণমূল পর্যায়ে যে আন্দোলন গড়ে ওঠেছিল তা সঠিকভাবে তুলে ধরে যার যার অবদানকে যথাযথভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। বিশেষভাবে জয়দেবপুরের ঊনিশে মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধের ঘটনা রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি আদায় ও এই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী নেতাদের জাতীয়ভাবে মূল্যায়ন করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পর ১৯ মার্চ জয়দেবপুর থেকে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয়েছিল। এমনি করে ১৪ ডিসেম্বর জয়দেবপুরে সর্বশেষ যুদ্ধের মাধ্যমে ১৫ ডিসেম্বর সকালে গাজিপুর মুক্ত হয়েছিল। ১৯ মার্চ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত গাজিপুরের মুক্তিযুদ্ধের যত ঘটনা আছে তা যথাযথভাবে সংরক্ষণের জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। ১৯মার্চ উদযাপন জাতীয় কমিটি এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে পারে।
মুখ্য আলোচক হিসেবে ইকবাল সোবহান চৌধুরী জাতির পিতার বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রাক্কালে ৮ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তির দিবসে বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের তৃণমূল পর্যায়ের সঠিক ইতিহাস রচনায় গণমাধ্যম সাংবাদিকরা বিশেষ অবদান রাখতে পারে। এ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান বলেন, গাজিপুরের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস রচনায় যত ঘটনা রয়েছে তা আগামি প্রজন্মকে জানাতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, সাংবাদিকরা ইতিহাস রচনায় সঠিক ভূমিকা পালন করলে জাতীয় ইতিহাস সমৃদ্ধ হয়। এজন্যই সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ ভাবে ইতিহাসকে উপস্থাপন করতে হবে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা