অনলাইন ডেস্ক
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোনো সময়ই অন্যায়ের পক্ষে ছিল না। আমি মনে করি, এটাই হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় অর্জন। আজকে বাংলাদেশের ইতিহাস লিখতে হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান এককভাবে পঞ্চাশ ভাগের বেশি। সুতরাং আমরা বলতে পারি স্বাধীনতা পূর্বকালীন এবং স্বাধীনতার স্বপ্নপূরণসহ যা কিছু বলেন তার একক কৃতিত্বের দাবিদার, অংশীদার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় যেমন ভালো কাজ করেছে, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ই আবার বঙ্গবন্ধুকে বহিষ্কার করেছিল। তার অপরাধ তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছিলেন, আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। যখন বহিষ্কার আদেশের জন্য বঙ্গবন্ধুকে শোকজ করা হয়, জবাবে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ ন্যায়ের কথা বললে বহিষ্কারের হুমকি দেয়, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সনদ নেওয়া যথার্থ নয় বলে আমি মনে করি। এটা আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ছোট করার জন্য বলছি না। অর্থাৎ কোনো কোনো সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে খারাপ চিন্তা করা, স্বাধীনতার বিপক্ষের মানুষও ছিলেন।
আলোচনা সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর, ঢাবির বঙ্গবন্ধু চেয়ার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, পল্পী-কর্ম ফাউন্ডেশন ড. খালেকুজ্জামান আহমেদ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক রহমত উল্লাহ।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা