অনলাইন ডেস্ক
সিএনএন এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনায় বিপর্যস্ত ইতালির দুই শতাধিক রোগীর ওপর জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে, কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৬৭ শতাংশই তাদের স্বাদ ও ঘ্রাণশক্তি লোপ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। এটা আক্রান্ত হওয়ার পূর্বে কিংবা পরে উভয় সময়ই হচ্ছে।
ড. ড্যানিয়েল বোরেসটো এর নেতৃত্বে গবেষণাটি করেছেন লন্ডনের গাই হাসপাতালের একদল চিকিৎসক। করোনার উপসর্গ হিসেবে ঘ্রাণশক্তি লোপ পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে এটা দ্বিতীয় কোনো গবেষণা।
করোনা আক্রান্ত অনেক রোগী তাদের শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দিচ্ছে বলে জানানোর পর বিষয়টি আলোচনায় আসে এবং তা নিয়ে গবেষণা হয়। লন্ডনের এই গবেষকদল তাদের গবেষণার নাম দিয়েছেন সিনো-ন্যাজাল অথবা এসএনওটি-২২।
গবেষকরা করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়েছেন ইতালির এমন ২০২ জন কোভিড-১৯ রোগীর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে তাদের শরীরে এমন উপসর্গ ছিল কিনা তা জিজ্ঞেস করার মাধ্যমে জরিপটি করেন।
গবেষকরা জানিয়েছেন তারা বিষয়টি নিয়ে যে ২০২ জন কোভিড-১৯ রোগীর সঙ্গে কথা বলেছেন, তাদের মধ্যে ১৩০ জনই জানিয়েছেন যে, আক্রান্ত হওয়ার আগে কিংবা পরে তারা এরকম অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন। যা জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৬৭ শতাংশ।
অনেকে অবশ্য নাসারন্ধ্র বন্ধ হয়ে হয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন, যাতে স্বাদ-ঘ্রাণশক্তি লোপ পায়।
গবেষণা নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে জামা নামের একটি মেডিকেল জার্নালে। তাতে লেখা আছে, ‘টেলিফোনে নেওয়া সাক্ষাতকারে তাদের জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, আপনাদের মধ্যে কি আচমকাই স্বাদ ও ঘ্রাণশক্তি হারানোর এই বিষয়টি হয়েছে নাকি আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা সেবা নেওয়ার দুই সপ্তাহ আগে থেকেই আপনাদের মধ্যে এটা ছিল।’
গবেষকরা এই বলে উপসংহার টেনেছেন যে, যদি এই ফলাফল এটাই নিশ্চিত করে যে, যারা স্বাদ ও ঘ্রাণশক্তি হারাচ্ছেন তাদের জন্য এটাকে কোভিড-১৯ এর একটি উপসর্গ বিবেচনা করে এসব মানুষকে সেল্ফ আইসোলেশন করে রাখা হোক। কেননা তাদের দ্বারা অন্য অনেকে আক্রান্ত হতে পারেন।
fblsk
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা