ফজলে কাদের মুকুল
১৯৪৭ইং এ পাক ভারত উপমহাদেশ থেকে ইংরেজ শাসকদের ভারত বর্ষ ছাড়ের মধ্যে দিয়ে ভারত আর পাকিস্তান নামক দুটি আলাদা রাষ্ট্রের জন্ম নিলেও, মাত্র এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের শরীক পূর্ব পাকিস্তানের সাধারন মানুষ ১৯৪৮ ইং এ বুঝতে শুরু করেছিল, পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের তারা কাগজে কলমে মালিক হলেও, কার্যত তারা নতুন করে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর অধীনে নতুন কায়দায় নিপীড়নের স্বীকার হতে চলেছে। সেই ১৯৪৮ ইং তে পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা উর্দু না বাংলা হবে সে বিতর্কের মধ্যেই পূর্ব পাকিস্তানের বাঙ্গালীর মনে নতুন করে সংশয় আর শংকার সৃষ্টি হয়েছিল। যার মধ্যে দিয়ে ভাষার অধিকার আদায়ের আন্দোলনের জন্ম হয়েছিলো। সে আন্দোলন থেকে ক্রমান্বয়ে ১৯৫২ এর ২১শে ফেব্রুয়ারী এ- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বুকের তাজা রক্ত আর জীবন বলিদানের মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষার মর্যাদা আদায়ের মাধ্যমেই বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের ভিত্তি তৈরি হয়েছিলো। আর সেই আন্দোলন এর ভিত্তি রচনাকাল থেকে শেখ মুজিবুর রহমান মূখ্য কারিগরদের একজন হয়ে পর্যায়ক্রমে ৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬ এর ১১ দফা, ৬৮ এর ৬ দফা, ৬৯ এর গন অভ্যুত্থান, ৭০ এর সাধারণ নির্বাচন ইত্যাদি, সকল আন্দোলনের অগ্রভাগে থেকে নিজের জীবনের সকল সুখ-শান্তি কামনা-বাসনা, সব কিছুই বিসর্জন দিয়ে, দিনরাত আন্দোলন, সংগ্রামের মাধ্যমের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার ফলশ্রুতিতে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, পাকিস্তানি শাসকদের কাছে এক ভয়াল দুঃস্বপ্নের কারন হয়ে দাড়ান ইতিমধ্যে হয়ে উঠেন। তার জন্য বঙ্গবন্ধুর ঠিকানা হয়ে উঠে জেল, রাজপথ আর পথে প্রান্তরে। এভাবেই বঙ্গবন্ধু, বাঙ্গালী জাতির মুক্তির আর স্বাধীনতার আন্দোলনের মূর্ত প্রতীক হয়ে উঠেন। সর্বশেষ ১৯৭১ এর ৭ ই মার্চ রেসকোর্সের লক্ষ জনতার ঢলের মহা উত্তালসম জনসমুদ্রে বজ্রকন্ঠে ঘোষনা দিলেনঃ “এবারের সংগ্রাম- আমাদের মুক্তির সংগ্রাম” “এবারের সংগ্রাম- আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম” জয় বাংলা।
এরপরের ইতিহাস সমগ্র বাঙ্গালী জাতি আর বিশ্বের গনতন্ত্রকামী সকল মানুষ জানেন, ১৯৭১ এর দীর্ঘ ৯ মাস ব্যাপী এক সশস্ত্র জনযুদ্ধের মাধ্যমে যা শুরু হয়েছিলো ১৯৭১ এর ২৫ শে মার্চের ভয়াল কালো রাতে, যখন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নিঃসৃংশ গন হত্যার মাধ্যমে, আর শেষ হয়েছিল রেসকোর্স ময়দানে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ এ যুদ্ধে পরাজিত পাকিস্তানি বাহিনীর আত্নসমর্পণের মাধ্যমে। এই ৯ মাস ব্যাপি যুদ্ধে, আমাদের সকল বাঙ্গালী সেনাবাহিনী, ইপিআর, পুলিশ, আনসার, ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক জনতা, সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী, ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে নারী পুরুষ সকলের অংশগ্রহণ ছিল বিশ্বের ইতিহাসে এক অনন্য সাধারন ঘটনা। যেখানে ত্রিশ লক্ষ মানুষের জীবন বলিদান, দুই লক্ষ নারীর সম্ভ্রম আর লাখো মুক্তিযোদ্ধার জীবনপন করা যুদ্ধের মাধ্যমে আর আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের জনগন, তৎকালীন সদাশয় সরকার আর সকল রাজনৈতিক নেতা কর্মীরা আন্তরিক সহায়তা, সমর্থন আর কোটি বাঙ্গালী শরনার্থীদের আশ্রয় দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের লড়াই সংগ্রাম আর যুদ্ধকে সহজ করে দিয়েছিলেন।
এই অনন্য সাধারন ইতিহাস তৈরীর মাধ্যমে আমরা আমাদের জন্য একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র, পতাকা, আর সংবিধান পেয়েছি আজ থেকে ৫০ বছর আগে। এ দিনটিকে উদযাপনের জন্য আমাদের সকল স্তরের মানুষের মধ্যে যখন উৎসাহ, উদ্দীপনা আর আয়োজনের কর্মযজ্ঞে ব্যাস্ত সরকার, সকল পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতা কর্মী, শিল্পী, সাহিত্যিক, ঐতিহাসিক, শিক্ষক, ছাত্র ছাত্রী, মুক্তিযোদ্ধা, সহ নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকল ধর্ম বর্নের মানুষ। আমাদের এ আয়োজনের সাথে, আমাদের প্রতিবেশী দেশ সমূহের রাষ্ট্র এবং সরকার প্রধান সহ সারা বিশ্বের মধ্যে যেসকল রাষ্ট্র আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তযুদ্ধ, এবং পরবর্তীতে গত ৫০ বছর আমাদের উন্নয়ন সহযোগী বন্ধু রাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্র এবং সরকার প্রধানবৃন্দরা সংহতি প্রকাশ করে ছেন। আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তী উদযাপনের অনুষ্ঠানে স্ব শরীরে অংশ গ্রহন করেছেন, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা, ভূটান, নেপাল, এবং ভারতের রাষ্ট্র প্রধান অথবা সরকার প্রধানবৃন্দ। এছাড়াও ভিডিও বার্তা প্রেরন অথবা লিখিত বানী পাঠিয়ে শুভেচ্ছা সহ সংহতি প্রকাশ করেছেন, ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জোবাইডেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পতুিন, চীনের প্রেসিডেন্ট জিন পিং, কানাডার প্রধানমন্ত্রী, যুক্ত রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী, সৌদি আরবের , ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট, জার্মানির চ্যান্সেলর, ইটালির প্রেসিডেন্ট, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট সহ জাতিসংঘের মহাসচিব, মালয়েশিয়ায় প্রেসিডেন্ট, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট, জাপানের প্রেসিডেন্ট এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজনীতি, সাহিত্য, সংস্কৃতি সহ অর্থনীতির অঙ্গনের নামকরা দিকপাল বৃন্দ। তাঁরা সবাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে এবং বিশ্বের গনতন্ত্রকামী মানুষের মুক্তির সংগ্রামে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তাঁদের বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষনকে বিশ্বের গনতন্ত্র, মানুষে মানুষে সমতা আর শোষনহীন সমাজ ব্যাবস্থা কায়েমের সংগ্রামে আলোক বর্তিকা হয়ে চিরদিন সমুজ্জ্বল হয়ে থাকবে এমন প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেছেন। এসবই জাতি হিসেবে আমাদের বাঙ্গালীদের মাথায় সম্নানের মুকুট পরিধানের আনন্দ আর সম্নান সম। আর আমাদের গত ৫০ বছরের উন্নয়ন, বিশেষ করে গত ১২ বছরের আমাদের দেশের অভূতপূর্ব গ্রগতি, আর তার অর্জনের পিছনে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য জাতির জনকের কন্যা জননেত্রী প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী সহ দেশের সকল ধর্ম, বর্ন আর পেশার নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকল মানুষের অবদানের স্বীকৃতিও দিয়েছেন।
১৯৭১ এ আমাদের বাংলাদেশের স্বাধীন অর্জনের পর, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পূর্ণগঠনে দেশবাসীকে নিয়ে তার সমস্ত শক্তি নিয়ে কাজ করাছিলেন, তখন বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার তির্যক মন্তব্য করে বাংলাদেশেকে “তলাবিহীন ঝুড়ির” সাথে তুলনা করেছিলেন। সেই আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের বরেন্য অর্থনীতিবিদ আর তাদের গবেষনা প্রতিষ্ঠানগুলো, এখন বাংলাদেশকে দক্ষিন এশিয়া থেকে বিশ্বের সম্ভাবনাময় উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি বলে গন্য করছে। আর তা সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশের গত ১২ বছর একাধারে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রধান এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী এবং সাহসী নেতৃত্বের কারনে। একথা আজ সর্বজন স্বীকৃত বাস্তবতা। এমনি সময়ে আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী আর আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি, যা নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য গৌরব আর আনন্দের বিষয় হিসেবেই বিবেচিত হয়েছে। আমরা এটাও বুঝি বিশ্বে চলমান করেনা কালীন দূর্যোগের সময়, আমাদের এ আয়োজনকে হয়ত কেউ কেউ নেতিবাচক উদ্যেগ হিসাবে দেখেছেন। কিন্তু এই অনুষ্ঠান শুরু থেকে শেষ অবধি যেভাবে বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয়ের উপর আলোচনা, আমাদের উদ্যোগ, আমাদের সফলতা, আর আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে একটি উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের করণীয় নির্ধারণের জন্য বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। কারন বিশ্ববাসীর কাছে গত পঞ্চাশ বছরে আমাদের উদ্যোগ, সফলতা আর পরবর্তী ২০৪১ সনের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আমাদের উন্নয়ন পরিকল্পনা, এবং তা বাস্তবায়নের জন্য আমাদের ভাবনা আর প্রয়াস সমুহ বিস্তারিত উপস্থাপনা করা হেয়েছে। আর আমাদের আগামী ২০৪১ সনের মধ্যে আমাদের লক্ষকে বাস্তবায়নের জন্য আমাদের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র, সরকার এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা কথাও জানানো হয়েছে। সরকারের এই উদ্যোগ পুরা অনুষ্ঠানকে একটা আলাদা মাত্রায় নিয়ে গেছে, যা দেশের ১৮ কোটি মানুষকে, আগামী ২০৪১ সনের মধ্যে কেমন বাংলাদেশ আমরা চাই তার একটা স্পষ্ট ধারনা দেয়া হয়েছে। আর আমাদের সরকারের এসব পরিকল্পিত বিষয়সমূহ, নাগরিক হিসেবে আমাদের একটা স্বপ্নের মধ্যে নিয়ে গেছে। এর পাশাপাশি বিশ্ববাসীর কাছে আমাদের বাংলাদেশের উন্নয়ন পরিকল্পনায়, চলমান মুক্তবাজার অর্থনীতির এ যুগে, করনীর স্থির করতে আমাদের পক্ষ থেকে আহ্বানও জানানো হয়েছে। আশার কথা হলো, বিশ্ববাসী আর আমাদের সকল বন্ধু রাষ্ট্র আর তাদের সরকার সমূহ সহ সকল উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান থেকে আমাদের ২০৪১ সনের পরিকল্পিত স্বপ্নের বাস্তবায়নে সহযোগিতার আশ্বাসও দেয়া হয়েছে।
এসবের মাধ্যমে আমাদের বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন, শুধু মাত্র একটি অনুষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং বিশ্ববাসীর কাছে ৫০ বছরের মাথায় এসে এক নতুন বাংলাদেশ কে তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি আগামী ২০৪১ এ বাংলাদেশের সরকার তার ১৮ কোটি মানুষকে সাথে নিয়ে কেমন বাংলাদেশ গড়তে চায় তার পরিকল্পনাও তুলে ধরা হয়েছে। তাই আমরা গর্বের সাথে বলতে পারি, আমাদের সরকারের এ উদ্যোগ এবং সকল আয়োজন স্বর্নোজ্জল সফলতায় ভরে উঠেছে।
কিন্তু, আমাদের দেশের দীর্ঘ দিনের প্রথাসিদ্ধ সরকার বিরোধীদের, রাজনীতির বেড়াজালের যথারীতি নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের কারনে এই মহতী উদ্যোগের সাথে দেশের সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অনুষ্ঠান সমূহে অংশগ্রহণ করেনি। তারা সরকারী সকল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলে, তারা দেশের জনগনের মনের মধ্যে ইতিবাচক ধারায় যে ফিরে এসেছে, তার একটি বার্তা এদেশর জনগন সহ বিদেশী রাষ্ট্র এবং সরকার পেত। কিন্তু তারা তাদের মত করেও কোনও কর্মসূচি করতে দেখা যায়নি। উপরন্তু তাদের একটি অংশ, স্বাধীনতা বিরোধী মৌলবাদে বিশ্বাসী কট্টরপন্থী উগ্র বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের অনুসারীদের নিয়ে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই, নানা ভাবে দেশের জনগনের ইচ্ছে এবং আকাঙ্ক্ষাকে তোয়াক্কা না করে, সরকারের এ কর্মসূচির বিরুদ্ধচারন করে আসছিলো। এরা বরাবরের মত বিরুদ্ধচারন করেই বিরত থাকেনি, তারা ভারতের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনুষ্ঠানে আগমনের বিরোধিতা করে, তাঁকে বাংলাদেশে আসতে দিবে না সংকল্প ব্যাক্ত করে রাস্তা অবরোধ, ঘেরাও, হরতাল সহ নানা রকম হিংসাত্মক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেছে। যদিও এসবের মধ্যে দেশের শান্তিপ্রিয় উন্নয়ন অভিযাত্রী সাধারন মানুষ সাড়া দেননি। উপরন্তু, তাদের এসব কর্মসূচির পিছনের উদ্দেশ্য যে, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের ২০৪১ ইং এর স্বপ্নের এবং কাঙ্খিত বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ এবং কর্মকাণ্ডকে বাধাগ্রস্ত করা- তা সাধারন মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
তাই একথা নির্দিধায় বলা যায়, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা, বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সরকার এবং বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে, আমরা আমাদের বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপন- সর্ব বিবেচনায় একটি “স্বর্নোজ্জল সফলতা” এর বিপরীতে স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী, মৌলবাদী রাজনৈতিক দল আর তাদের নেতৃবৃন্দের গৃহীত নেতিবাচক কর্মকাণ্ড এদেশের মানুষের কাছে একটি “নির্লজ্জ ব্যার্থতার দলিল” হয়ে থাকবে।
লেখক: শিক্ষাকর্মী ও চেয়ারম্যান, গভর্নিংবডি চাঁদপুর এম এ খালেক মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ সহ-সভাপতি, কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ উপজেলাঃ কচুয়া, জেলাঃ চাঁদপুর।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা