স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন,“দেশের স্বাস্থ্যখাত আগামী পাঁচ বছরে স্বর্ণযুগে প্রবেশ করবে। সাড়ে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে যেভাবে দেশের আনাচে-কানাচে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে গেছে একইভাবে আগামীতে প্রচুর সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স, মিডওয়াইফারি নিয়োগ দিয়ে, হাসপাতাল সেবার মান বহুগুণ বৃদ্ধি করে এবং চিকিৎসা সেবায় মানুষের ব্যয় কমিয়ে আগামীতে দেশের স্বাস্থ্যখাতকে ইতিহাসের স্বর্ণযুগে নিয়ে যাওয়া হবে।”
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওস্ত কেন্দ্রীয় ঔষাধাগারে দেশের ৮৮টি উপজেলায় একযোগে ১০৩টি অ্যাম্বুলেন্স বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
অ্যাম্বুলেন্স বিতরণের পরিসংখ্যান তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “বর্তমান সরকার দেশের মানুষের সেবায় ব্রত নিয়ে কাজ করছে। স্বাস্থ্যখাত থেকে ২০১৭ সালে ৯৮টি, ২০১৮ সালে ১১৩টি এবং এ বছর ২০১৯ সালে১০৩টি অ্যাম্বুলেন্স দেশের ৮৮টি উপজেলায় বিতরণ করা হলো। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় এতগুলো অ্যাম্বুলেন্স চিকিৎসাৎক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রাখবে। এর পাশাপাশি, কিছুদিন আগেই দেশের ক্যান্সার হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা ২০০টি থেকে ৫০০টি করা হয়েছে। দেশের সকল হাসপাতাল শয্যাসংখ্যা দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ৮ বিভাগে ৮টি ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ করা হচ্ছে। কিছুদিন আগেই সাড়ে ৪ হাজার নতুন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অল্প কিছু দিনের মধ্যেই আরো সাড়ে ৫ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হবে। এই নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসদের গ্রামে পোস্টিং দেয়া হচ্ছে যাতে গ্রামের চিকিৎসাসেবার মান আরো উন্নত হয় এবং ঢাকায় চাপ কমে। নতুন করে এখন ১৫ হাজার নার্স ও মিডওয়াফারি নিয়োগের কাজ চলমান আছে। এসকল কাজ বাস্তবায়ন করা হলে চিকিৎসাখাতে দেশের স্বর্ণযুগ চলে আসবে।”
সভায় ৮৮টি উপজেলার পক্ষ থেকে ঐ এলাকার নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা উপস্থিত থেকে অ্যাম্বুলেন্সগুলির চাবি বুঝে নেন। ৮৮টি উপজেলা ও জেলা হাসপাতালগুলোর পক্ষে খাদ্যমন্ত্রী স্বাধন চন্দ্র মজুমদার, নারায়নগঞ্জ-৩ আসনের সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা, জয়পুরহাট-১ আসনের সাংসদ সামছুল আলম দুদু, জামালপুর সদর হাসপাতালের জন্য জামালপুর-৫ আসনের সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেন, রাজশাহী সদর হাসপাতালের জন্য সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা, সিলেট-৩ আসনের সাংসদ মাহমুদুস সামাদ চৌধুরী, ময়মনসিংহ-১১ আসনের কাজিম উদ্দিন এমপি, রাঙ্গামাটি থেকে দিপংকর তালুকদার এমপি, যশোর-৪ আসনের রনজিৎ কুমার রায় এমপি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সাংসদ মো. আমিনুল ইসলাম, বগুড়া-২ আসনের সাংসদ শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, সংরক্ষিত আসনের সাংসদ উম্মে ফাতিমা শিউলি, টাঙ্গাইল-৪ আসনের সাংসদ আহসানুল ইসলাম টিটু, বগুড়া-৪ আসনের সাংসদ মোঃ মোশারফ হোসেন, বগুড়া-৭ আসনের সাংসদ মোঃ রেজাউল করিম বাবলু, টাঙ্গাইল-২ আসনের সাংসদ ছোট মনির এবং খাগড়াছরি থেকে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা নিজ নিজ এলাকার হাসপাতালের পক্ষে অ্যাম্বুলেন্সের চাবি বুঝে নেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ-এর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম, সিবিএইচসির লাইন ডাইরেক্টর ডা. মহদেব চন্দ্র রাজবংশীসহ অন্যান্য বক্তাগণ।
বক্তারা দেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে কার্যকর ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদানের কথা তুলে ধরেন ও স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে নানা পরামর্শ দেন।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা