বিয়ের পর স্বামী কিংবা স্ত্রীর কিছু কিছু সুখবর সংসার জীবনে অশান্তি নিয়ে আসে। বিশেষ করে স্ত্রীর বেশি উপার্জন করলে তা স্বামীর জন্য পীড়াদায়ক!
হৃষীকেশ মুখার্জির ‘অভিমান’ মনে পড়ছে তো? স্ত্রীয়ের সাফল্যে কী ভাবে কুঁড়ে কুঁড়ে খেয়ে নিল স্বামীকে? সুস্থ, সুন্দর একটা দাম্পত্য কেমন শেষ হয়ে গেল মনে পড়ে? না, নিছক সিনেমা ভেবে উড়িয়ে দেবেন না।
সিনেমার গল্প কিন্তু উঠে আসে জীবন থেকেই। সম্প্রতি এক গবেষণায় ধরা পড়েছে এমনটাই। স্ত্রীয়ের পেশাগত সাফল্য নাকি স্বামীদের নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার অন্যতম কারণ।
বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা বলছে যে সমস্ত পুরুষ অর্থনৈতিক ভাবে পুরোপুরি নিজের স্ত্রীয়ের ওপর নির্ভরশীল, তাঁরাই সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। শারীরিক সমস্যাও দেখা যায় এই সব পুরুষদের মধ্যে।
কিন্তু যে স্ত্রীরা তার স্বামীর আয়ের উপর নির্ভরশীল সেই স্বামীরা মানসিকভাবে বেশি ভালো থাকেন।
রক্তের প্লাটিলেট বাড়াতে যেসব খাবার খাবেন
সমাজের চিরাচরিত ধারনা রয়েছে, স্ত্রীদের তুলনায় পুরুষদের রোজগার হবে বেশি। এই চেনা ছকের বাইরে কিছু ঘটলেই সমস্যার সূত্রপাত, মনে করছেন গবেষকরা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৬০০০ বিবাহিত দম্পতিকে নিয়ে চালানো হয়েছিল সমীক্ষা। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে চলেছে সমীক্ষা। গবেষণার ফলাফল বলছে স্ত্রী যদি পারিবারিক আয় বাড়াতে সাহায্য করে, তাতে কোনও সমস্যা হয় না, কিন্তু পারিবারিক আয়ের ৪০ শতাংশ যদি স্ত্রীয়ের আয় হয়ে থাকে, উদ্বেগজনিত সমস্যায় ভুগতে থাকেন পুরুষেরা।
ইউনিভার্সিটি অব বাথ স্কুল অব ম্যানেজমেন্টের অর্থনীতিবিদ ডা.জোয়ানা সিরিদা বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ধারণা হয়ে আছে যে, স্বামী তার স্ত্রীর চেয়ে বেশি উপার্জন করবে। কম উপার্জনকারী স্বামীকে সমাজে হেয়ভাবে দেখা হয়। যা স্বামীর জন্য পীড়াদায়ক।’
তিনি আরো জানান, কম আয় করা স্বামী নিজেকে সংসারে মূল্যহীন বোধ করেন এবং সামাজিকভাবে নিজেকে দুর্বল ভাবতে থাকেন। তারা এসব কারণে সবসময় অস্থিরতা এবং হতাশায় ভোগেন। যা তার সার্বিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পড়ে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা