অনলাইন ডেস্ক
গত রোববার প্রচারিত টকশোয় আল-জাবরি ২০১৪ সালের একটি ঘটনার বর্ণনা দেন যেখানে মোহাম্মদ বিন সালমান এবং তাঁর চাচাতো ভাই মোহাম্মদ বিন নায়েফ ছিলেন। নায়েফ পরবর্তীতে সৌদি আরবের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হন। সে সময় নায়েফকে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, ‘আমি বাদশাহ আব্দুল্লাহকে হত্যা করতে চাই। রাশিয়া থেকে একটি বিষাক্ত আংটি আনছি, যেটি পরে আব্দুল্লাহর সঙ্গে হাত মেলাতে পারলেই যথেষ্ট হবে। তিনি এটা বাগাড়ম্বর করতে বলেছিলেন কিনা তা জানি না, তবে তিনি বলেছিলেন এবং আমরা এটাকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছিলাম।’
২০১৫ সালের জানুয়ারিতে বর্তমান বাদশাহ সালমান সৌদি সিংহাসনে বসেন। ৯০ বছর বয়সে বাদশাহ আব্দুল্লাহর মৃত্যু হলে মোহাম্মদ বিন সালমানের বাবা বর্তমান বাদশাহ ক্ষমতায় আসীন হন। বর্তমানে কানাডায় স্বেচ্ছায় প্রবাস যাপনকারী সৌদি আরবের গোয়েন্দা বিভাগের দ্বিতীয় শীর্ষস্থানীয় পদে নিযুক্ত এই কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিন নায়েফের সঙ্গে ঘনিষ্ট ছিলেন। মোহাম্মদ বিন সালমান ক্রাউন প্রিন্স হওয়ার পর ক্ষমতার টানাপোড়েনে মোহাম্মদ বিন নায়েফ কোনঠাসা হয়ে পড়েন। ২০১৭ সালের জুন থেকে তিনি গৃহবন্দি রয়েছেন।
সাক্ষাৎকারে সাদ আল-জাবরি আরো বলেন, ‘আমাকে হত্যা করতে ২০১৮ সালে কানাডায় হিট স্কোয়াড পাঠানোর পরিকল্পনা করেছিলেন মোহাম্মদ বিন সালমান। এ ছাড়া আমার দুই সন্তান সারাহ ও ওমরকে বর্তমানে সৌদি আরবে জেলবন্দি করে রাখা হয়েছে।’
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ২০১৮ সালের অক্টোবরে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার ঘটনার পরই আল-জাবরিকে কানাডায় হত্যার হুমকি পাঠানো হয়। আল-জাবরিকে হত্যার হুমকি নিয়ে সেসময় সংবাদমাধ্যমে খবরও বের হয়। সিবিএসের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সৌদি আরবের সরকারের কাছে বক্তব্য চাওয়া হলে তাতে রাজি হয়নি সৌদি সরকার। তবে ওয়াশিংটনের সৌদি দূতাবাস সাদ আল-জাবরিকে ‘অবিশ্বস্ত’ সাবেক সরকারি কর্মকর্তা আখ্যায়িত করেছে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা