সৈয়দ আশরাফের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ

অনলাইন ডেস্ক

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ (মঙ্গলবার)। ২০১৯ সালের তেসরা জানুয়ারি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন সৈয়দ আশরাফ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।

এক-এগারোর পরবর্তী সময়ে সৈয়দ আশরাফ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০০৯ সালে দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১২ সালের সম্মেলনে তিনি টানা দ্বিতীয়বার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান তিনি। ২০১৬ সালের সম্মেলনে তাঁকে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য করা হয়।

সৈয়দ আশরাফ ছাত্ররাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ভারতের দেরাদুনে প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন সৈয়দ আশরাফ।

১৯৭৫ সালের তেসরা নভেম্বর কারাগারে পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাজ্য চলে যান সৈয়দ আশরাফ। যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে আসেন এবং কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সৈয়দ আশরাফ। পরে তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০০১ সালের পহেলা অক্টোবরে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় সৈয়দ আশরাফ নির্বাচিত হন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০১৫ সালের ১৬ই জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। তিনি এক কন্যার জনক। তাঁর স্ত্রী শিলা ইসলাম ২০১৭ সালের অক্টোবরে মারা যান। সৈয়দ আশরাফ ১৯৫২ সালের পহেলা জানুয়ারি ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক।

fblsk