অনলাইন ডেস্ক
এখন খুচরায় এক কেজি চিনি কিনতে গুনতে হচ্ছে থেকে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, গত এক সপ্তাহে চিনির দাম কেজিতে অন্তত পাঁচ টাকা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে আমদানি করা সাদা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭২ টাকায়, আর দেশি লাল চিনি (সরকারি চিনিকলের) বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়।
যদিও এ বিষয়ে দেশের উন্নতম চিনি সরবরাহকারী এক প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার দাবি, আন্তর্জাতিক বাজার অস্থিতিশীল হওয়ার কারণেই দেশের চীনের বাজারে দাম বেড়েছে। করোনার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারের এ অবস্থা। তিনি এও দাবি করেন, মিল পর্যায়ে চিনির দাম ততটা বাড়েনি যতটা খুচরা বাজারে বাড়তি বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে সেমাইয়ের দামে খুব একটা হেরফের লক্ষ করা যায়নি। বিক্রি হচ্ছে গত বছরের দামেই। বাজারে গিয়ে দেখা যায়, মুদি দোকানিরা সামনেই সাজিয়ে রেখেছেন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সেমাই। এখানে বিভিন্ন পরিচিত ব্র্যান্ডের প্যাকেটের ২০০ গ্রাম লাচ্ছা বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। আর ৫০০ গ্রামের স্পেশাল লাচ্ছা সেমাই বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে মানভেদে ১৪০ টাকা পর্যন্ত।
তবে দোকান ও সুপারশপে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্পেশাল সেমাই এবং ভারতের কিছু ব্র্যান্ডের সেমাই ২০০ গ্রামের দাম ১৬০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে দেখা গেছে। সেগুলোর দাম নিয়ে যথেষ্ট অভিযোগ রয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে।
সেমাইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ঘি, কিসমিস, বাদাম, মসলা, দারুচিনি, এলাচি, গুঁড়ো ও তরল দুধ বিক্রি হচ্ছে বেশি। বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের অন্যান্য কেনাকাটা শেষে এখন তড়িঘড়ি করেই সেমাই কিনছে মানুষ। শেষ সময়ে সেমাই চিনির বাজার বেশ জমে উঠেছে। তবে করোনার প্রভাবে অন্যান্য বছরের সঙ্গে তুলনা করলে বিক্রি বেশ কম।
সেগুনবাগিচায় একটি সুপারশপ থেকে সেমাই চিনি কেনার সময় ফরিদ-উল-রেজা নামের এক বেসরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘ঘরে ঘরে ফিরনি, সেমাইসহ নানাজাতের মিষ্টান্ন তৈরির এই উৎসবে চিনির চাহিদা বেড়েছে। সেই সুযোগে দাম বাড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে। পবিত্র উৎসবের সময় বিষয়টা খুবই নৈতিক ও বিরক্তিকর। সরকার এসব কঠোরভাবে মনিটরিং করতে পারত।’
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা