হাসানুল হক ইনু বলেন, স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন, স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ ছাত্র-ছাত্রীদের প্রকাশ্য সামরিক প্রশিক্ষণসহ অগ্নিঝরা মার্চের ঐতিহাসিক ও বীরত্বপূর্ণ ঘটনাবলীর মধ্য দিয়ে সমগ্র বাঙালি জাতি স্বাধীনতার লক্ষ্যে উত্থিত হয়েছিল।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার লক্ষে উত্থিত জাতির শাসন কর্তৃত্বভার গ্রহণ করেন এবং স্ব-শাসিত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন।
ইনু বলেন, সেদিন যারা বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছিল আজও তারাই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ঘোষিত-অঘোষিত, প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।
শনিবার (৭ মার্চ) সকাল ১১ টায় ‘৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ’ উপলক্ষে নগরীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭১ সালের ২ মার্চ স্বাধীনতার পতাকা প্রদর্শন ও উত্তোলন, ৩ মার্চ স্বাধীনতার ইশতেহার ঘোষণা, ৯ মার্চ মাওলানা ভাসানীর বঙ্গবন্ধুর প্রতি সমর্থন প্রদান, ১৯ মার্চ জয়দেবপুর ক্যান্টনমেন্টের বাঙালি অফিসার ও সৈনিকদের বিদ্রোহ, ২৩ মার্চ সামরিক কুচকাওয়াজের মাধ্যমে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলণ, ২৫ মার্চ পাকহানাদার বাহিনীর ক্র্যাকডাউন ও গণহত্যার সূত্রপাত, ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা, পাকবাহিনীকে প্রতিরোধ ও মুক্তিযুদ্ধের সূচনাসহ অগ্নিঝরা মার্চের ঐতিহাসিক ও বীরত্বপূর্ণ ঘটনাবলী স্মরণে জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাসদ সভাপতি, সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু ।
বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, সহ-সভাপতি মীর হোসাইন আখতার, স্থায়ী কমিটির সদস্য পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফসর ডা. এম এ করিম, এড. হাবিবুর রহমান শওকত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাদের চৌধুরী, মোখলেছুর রহমান মুক্তাদির, নইমুল আহসান জুয়েল, জাতীয় কৃষক জোটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন কাওসার প্রমূখ।
সভাপতির ভাষণে হাসানুল হক ইনু বলেন, স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন, স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ ছাত্র-ছাত্রীদের প্রকাশ্য সামরিক প্রশিক্ষণসহ অগ্নিঝরা মার্চের ঐতিহাসিক ও বীরত্বপূর্ণ ঘটনাবলীর মধ্য দিয়ে সমগ্র বাঙালি জাতি স্বাধীনতার লক্ষ্যে উত্থিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার লক্ষে উত্থিত জাতির শাসন কর্তৃত্বভার গ্রহণ করেন এবং স্ব-শাসিত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন।
ইনু বলেন, সেদিন যারা বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছিল আজও তারাই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ঘোষিত-অঘোষিত, প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। এই স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রধান যুদ্ধ কৌশল হচ্ছে; জাতীয় ইতিহাসকে অস্বীকার করা, ইতিহাসকে বিকৃত করা, মীমাংসিত বিষয়কে অমীমাংসিত করা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-সংবিধান-রাষ্ট্রীয় মূলনীতি অস্বীকার করা।
ইনু বলেন, দূর্ভাগ্যক্রমে বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর ও ৭ নভেম্বরের সিপাহী জনতার অভ্যূত্থান প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবার পর রাষ্ট্রক্ষমতায় জেঁকে বসা সামরিক শাসকরা এবং তাদের সৃষ্ট দল বিএনপি-জাতীয় পার্টি ও তাদের হাত দিয়ে পুন:প্রতিষ্ঠিত জামাত-যুদ্ধাপরাধীরা এখনও বাংলাদেশ বিরোধীতার রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে বিভক্ত করার অপরাজনীতি নির্মূল করেই বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ১৯৭১ সালের মতই জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে, রাজনৈতিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দুর্নীতির অবসান করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা, অর্থনীতিতে লুটপাট বন্ধ, অর্থনীতি ও সমাজে সকল ধরনের বৈষম্যের অবসান করে জনগণের মুক্তির লক্ষ্যে সমাজতন্ত্রের পথে এগিয়ে যেতে হবে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা