অনলাইন ডেস্ক
তবে না, সেগুলো কোনোটিই বিক্রির জন্য নয়, বরং রাখা হয়েছে মহামারীতে দুর্দশায় পড়া দুঃস্থ মানুষদের জন্য। মসজিদের জানালায় লেখা, যে যা পারেন কিছু রেখে যান আর যার যা প্রয়োজন তা নিয়ে যান।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে তুরস্কের মসজিদগুলোতে জামাতে নামাজ বন্ধ হওয়ার পর গরিবদের জন্য কিছু করার কথা ভাবেন সারিয়ার জেলার এই মসজিদটির ইমাম আবদুলসামেত কাকির।
তুরস্কে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ২,৮০৫ এবং আক্রান্ত হয়েছে ১১০,১৩০ জন। সংক্রমণ ঠেকাতে ইস্তাম্বুলসহ বড় বড় শহরগুলোতে লকডাউনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ইমাম আবদুলসামেত কাকির বলেন, “জামাতে নামাজ বন্ধ হওয়ার পর এই মসজিদ থেকেই অসহায় মানুষজনকে সাহায্য করার চিন্তা আমার মাথায় আসে।”
অটোমান আমলের দানের সংস্কৃতি ‘চ্যারিটি স্টোন’ তাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে বলে জানান কাকির। এ ব্যবস্থায় স্থাপন করা ছোট পাথরের পিলারের ওপর ধনীরা বিভিন্ন জিনিস দান হিসাবে রেখে যেতেন। আর অভাবিরা তাদের প্রয়োজন মতো সেখান থেকে কিছু জিনিস নিয়ে যেতেন।
ঠিক সে পন্থা অনুসরণেই মসজিদে আসা দানের জিনিসগুলো র্যাকে সাজিয়ে তা গরিবদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হচ্ছে। মসজিদের দেয়ালে সাহায্য দরকার এমন মানুষদের নাম এবং ফোন নাম্বার লেখা তালিকাও টাঙিয়ে রেখেছেন কাকির।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে দিয়ে সে তালিকায় থাকা নামগুলো যাচাই করিয়ে নিয়ে প্রকৃতই অভাবগ্রস্ত ব্যক্তিকে ডেকে এনে সাহায্য করা হচ্ছে। দু’সপ্তাহ ধরে মসজিদটিতে এ কর্মসূচি চলছে এবং প্রতিদিন ১২০ জন করে মানুষ আসছে।তালিকাতেও দিন দিন বাড়ছে নামের সংখ্যা।
নানারকম ত্রাণের প্যাকেজ দিয়েই চলছে মসজিদের ওই সুপারশপ। তবে সেখানে দান হিসাবে কোনো নগদ অর্থ নেওয়া হয় না। লোকজন বিভিন্ন জিনিস দিয়ে যায়। আটা তৈরির মিল থেকে দেওয়া হয় আটা, বেকারি থেকে আসে রুটি, পানি সরবরাহকারীরা দেয় পানি। গোটা তুরস্ক এমনকি বিদেশ থেকেও মসজিদটিতে ত্রাণ আসছে।
fblsk
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা