সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিম ইদলিব প্রদেশে দেশটির সরকারি বাহিনীর বিমান হামলায় তুরস্কের ২২ জন সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) এ হামলায় আরও অনেক সেনাসদস্য আহত হয়েছেন।
তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের হাতই প্রদেশের গভর্নর রাহমি দোগানের বরাতে রাষ্ট্র পরিচালিত আনাদোলু এজেন্সি এ খবর প্রকাশ করেছে।
খবরে বলা হয়, সম্প্রতি ইদলিবে কয়েক হাজার সেনা মোতায়েনের পর থেকে এক দিনেই তুরস্কের সেনাবাহিনীর সবচেয়ে বেশি সংখ্যক হতাহতের ঘটনা ঘটল।
এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ইদলিবের পরিস্থিতি নিয়ে দুই ঘণ্টার জরুরি নিরাপত্তা বৈঠক করেছেন। রাজধানী আঙ্কারায় প্রেসিডেন্ট কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে মন্ত্রী ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ অঞ্চল ইদলিবে তুরস্কের ১২টি পর্যবেক্ষণ চৌকি রয়েছে। ২০১৮ সালে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে এসব চৌকি স্থাপন করে তুরস্ক। সেই সময় রাশিয়া-তুরস্কের এই চুক্তিতে সমর্থন জানান সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ।
গত মাসে ইদলিবে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর হামলায় তুরস্কের অন্তত ১৩ সৈন্যের প্রাণহানি ঘটে। এ ঘটনার পর আঙ্কারা ব্যাপক সামরিক জবাব দেয়ার প্রস্তুতি নেয়। ফলে ৯ বছরের যুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়ায় নতুন করে সহিংসতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রাশিয়ার সমর্থন গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইদলিব এবং আলেপ্পোতে সামরিক অভিযান শুরু করেছে সিরিয়ার সামরিক বাহিনী। এই সামরিক অভিযানের মুখে ইদলিব এবং আলেপ্পোতে মানবিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
প্রায় সাত লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছেন। জাতিসংঘ বলছে, ইদলিব, আলেপ্পোর এই সহিংসতায় গত কয়েক সপ্তাহে শত শত বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা