অনলাইন ডেস্ক
দুদক সূত্রে জানা গেছে, বন্ধ হয়ে যাওয়া রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ নির্ধারিত সময়ে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করে ও আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এক কোটি ৬৯ লাখ ১৭ হাজার ৫১৩ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে দখলে রেখেছেন। তদন্তে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীর তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসামি মোহাম্মদ সাহেদ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি। এছাড়া আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ৬৯ লাখ ১৭ হাজার ৫১৩ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জন করে তা দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তার দাখিলকৃত প্রতিবেদনের সুপারিশের আলোকে কমিশন চার্জশিট দাখিলের প্রস্তাব অনুমোদন করে।
এর আগে ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর নির্ধারিত ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদের হিসাব জমা দিতে সাহেদকে নোটিশ দিয়েছিল দুদক। এরপর তিনি তা জমা না দেওয়ায় এর ধারাবাহিকতায় অতিরিক্ত আরও ১৫ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছিল। এরপরও সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ায় অনুসন্ধানের পর তার বিরুদ্ধে গত বছরের ১ জানুয়ারি মামলা করে দুদক।
পরে কমিশনের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী মামলাটির তদন্ত করে সম্প্রতি দুদকের প্রতিবেদন দাখিল করলে বুধবার এর অভিযোগপত্র অনুমোদন করা হয়। প্রসঙ্গত, রিজেন্ট হাসপাতাল ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষায় জালিয়াতি, প্রতারণা ও অনিয়মসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এরই মধ্যে সাহেদকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা