অনলাইন ডেস্ক
উনিশ শতকের বাঙালি সাহিত্যিক ও সাংবাদিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্য বিকাশে অসীম অবদানের জন্য অমর হয়ে থাকবেন। তিনিই প্রথম আধুনিক বাংলা ঔপন্যাসিক। বাংলা ভাষার আদি সাহিত্যপত্র বঙ্গদর্শনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। কমলাকান্ত ছদ্মনামেও লিখতেন।
১৮৫৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচের যে দুজন ছাত্র বিএ পাস করেন, বঙ্কিমচন্দ্র ছিলেন তাদেরই একজন। তিনি ব্রিটিশ সরকারের সাব অর্ডিনেট এক্সিকিউটিভ সার্ভিসে যোগ দেন এবং পরে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর পদে চাকরি করেন।
বঙ্কিমচন্দ্রের কর্মদক্ষতার স্বীকৃতিস্বরূপ কর্তৃপক্ষ তাকে ১৮৯১ সালে ‘রায়বাহাদুর’ এবং ১৮৯৪ সালে ‘Companion of the Most Eminent Order of the Indian Empire’ (CMEOIE) উপাধি প্রদান করে।
চব্বিশ পরগনা জেলার বারুইপুরে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট থাকা অবস্থায় বঙ্কিমচন্দ্র তার প্রথম দুটি বিখ্যাত উপন্যাস দুর্গেশনন্দিনী ও কপালকুণ্ডলা রচনা করেন। ১৮৮৭ সালের মধ্যে তার অন্যান্য মোট চৌদ্দটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়। ১৮৮০ থেকে বঙ্কিমচন্দ্রের রাজনীতি ও ধর্মের প্রতি অনুরাগ জন্মাতে থাকে। বঙ্কিমচন্দ্রের আগে বাংলা উপন্যাস বলতে ছিল কয়েকটা সংস্কৃত নাটক ও গল্প এবং কিছু ফারসি ও আরবি গল্পের অনুবাদ।
বঙ্কিমচন্দ্র ভারতীয় জাতীয়তাবাদ জাগিয়ে তুলতে প্রবন্ধ ও গ্রন্থে ‘বন্দে মাতরম্’, ‘মাতৃভূমি’, ‘জন্মভূমি’, ‘স্বরাজ’, ‘মন্ত্র’ প্রভৃতি নতুন স্লোগান তৈরি করেন। ১৮৯৪ সালের ৮ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা