অনলাইন ডেস্ক
ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল দেশ ছাড়ার আগে ওই পরিসংখ্যান পাল্টে দেওয়ার পণ করেছেন। ওয়ানডেতে একটি জয় চান-ই চান। শুক্রবার সেই মিশন শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের। সেঞ্চুরিয়নে বাংলাদেশকে আতিথেয়তা দিতে প্রস্তুত প্রোটিয়ারা। প্রস্তুত হয়েছে বাংলাদেশও। মাঠে নামার আগে তামিম সতীর্থদের সাহস নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার মন্ত্র নিয়েছেন, দিয়েছেন অনুপ্রেরণা।
গণমাধ্যমে তামিম বলেছেন, ‘এখানে আমরা আমাদের কাজ নিয়ে মনোযোগী। দক্ষিণ আফ্রিকায় সব সময়ই কঠিন সফর হয় আমাদের জন্য। এবার আমাদেরকে সেই জিনিসটার পরিবর্তন করতে হবে। এজন্য আমাদের সাহস নিয়ে খেলতে হবে এবং চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। এটা খুব গুরুত্বপূ্র্ণ। অনুপ্রেরণার কথা যেটা বললেন, আপনি যখন দেশের জার্সি পরে মাঠে নামেন তার থেকে বড় কিছু আর থাকে না।‘
দক্ষিণ আফ্রিকায় এবার তিন ওয়ানডে ও দুই টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। তিনটি ওয়ানডে হবে সেঞ্চুরিয়ন ও ওয়ান্ডারার্সে। ওয়ান্ডারার্সে ২০০৩ সালে কেনিয়ার সঙ্গে একটি ওয়ানডে খেললেও সেঞ্চুরিয়নে কোনো ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজের শুরুটা হচ্ছে সেখানে, যেখানে বরাবরই রান উৎসব হয়। তামিমরা মাঠের পরিসংখ্যান জেনেই মাঠে নামছেন। সেভাবেই নিজেদের প্রস্তুত করেছেন বলেই দাবি ওয়ানডে অধিনায়কের।
তামিম বলেছেন, ‘এখানে আমাদের ওয়ানডে ক্রিকেট খেলার খুব বেশি অভিজ্ঞতা নেই। তবে এতটুকু বলতে পারি এখানে আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ থাকবে। যদি পরিসংখ্যান দিয়ে বিবেচনা করি তাহলে বলব, এটা বেশ হাই স্কোরিং গ্রাউন্ড যেখানে অনেক রান হয়। মাঠের আকৃতি এবং আউটফিল্ড বড় কারণ। তবে পরিসংখ্যান যতই দেখি না কেন আমাদের মাঠে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। কোনো সন্দেহ নেই তারা আমাদের ওপর চড়াও হয়ে উঠবে। ওই জিনিসটা আমাদের ভালো করে সামলে নিতে হবে।’
দুই দলের সবশেষ ওয়ানডে মুখোমুখিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছিল মাশরাফির দল। সেই জয় থেকে আত্মবিশ্বাস পাচ্ছেন তামিম, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বকাপে আমরা ওদের বিপক্ষে ভালো খেলেছি। তাই এখানেও ভালো না খেলার কোনো কারণ দেখি না। আমি যত কিছু বলি না কেন, আমরা কাল শুরুটা কীভাবে করছি সেটা গুরুত্বপূর্ণ। পরবর্তীতে দেখা যাবে আমরা কীভাবে এগিয়ে যাই।’
দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের ভালো ক্রিকেট না খেলার প্রধানতম বাধা কন্ডিশন। এবার সেন্টার উইকেটে অনুশীলনের পাশাপাশি নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার পর্যাপ্ত সময় পাওয়ায় নিজেদের ভাগ্যবান ভাবছেন তামিম, ‘তিনটা-চারটা সেশন অনুশীলন করেছি। এ সময়ে আমরা যতটা সম্ভব কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। একটা জিনিস বুঝতে হবে, এরকম কন্ডিশনে আমরা সব সময় খেলি না। কিন্তু একদিক থেকে ভালো যে আমরা সেন্টার উইকেটে বেশ কয়েকটি অনুশীলন করতে পেরেছি। ওয়ান্ডারার্সে আমরা দ্বিতীয় ম্যাচ খেলব। সেখানে আমরা সেন্টার উইকেটে অনুশীলন করেছি। যেটা নিজেদের মধ্যে অনুশীলন ম্যাচের মতো হয়েছিল। যতটুকু আমরা পারছি কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।’
‘দুই-তিন দিনে তো এগুলোর পরিবর্তন হয় না। মূল বিষয় হচ্ছে আপনি মানসিকভাবে যতটুকু প্রস্তুত থাকবেন, যতটা লড়াই করতে পারবেন তাহলে ভালো করতে পারবেন। এটাই মূল বিষয়। আপনি সারাবছর এক ধরনের উইকেটে খেলে সাতদিন আগে এখানে এসে নিজেকে প্রস্তুত করছেন। নিশ্চয়ই নিজেদের ভাগ্যবান মনে করা উচিত। যেটা বললাম, যতটুকু মানসিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করবেন তত ভালো ফল পাবেন।’– যোগ করেন তামিম।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা