তাসকিনা ইয়াসমিন : দেশের করানো ভাইরাসে কত ২৪ ঘন্টায় ১৮২ জন আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৮০৩ জনে। গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। মোট মৃত্যু ৩৯ জনের। আর এ পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৪২ জন। এ অবস্থায় দেশের মানুষকে করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষায় তাদেরকে ঘরে থাকার জন্য বাধ্য করতে হবে এমনটিই বলছেন সিনিয়র সাংবাদিক আফসান চৌধুরী। আর এজন্য অবশ্যই সেনাবাহিনীকে কাজে লাগাতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের যে কোন কারণেই হোক, ঐতিহাসিক, সামাজিক, প্রয়োজনের কারণেই হোক আমরা লকডাউন মানছি না। অতএব, যে বিপদটা আমাদের এসেছে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতোই আমরা নিজেদের উপরে কিছুটা হলেও টেনে এনেছি। সরকার, দেশ-বিদেশ কেউই প্রস্তু ছিলনা। আমার সমাজ এবং আমার সমাজের মানুষও প্রস্তুত ছিলনা। এই দেড়মাসের মধ্যে মানুষ স্ব বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেবে এবং চলাফেরা করবে এটা আশা করা ঠিক হয়নি। এটি আর একটি অসুবিধা সরকারের জন্য সরকার কিছুটা নরম হয়ে আছে। কারণ সরকার চায়না জনপ্রিয়তা হারাক। কিন্তু এটা করে এটার ফলস্বরূপ যেটা হচ্ছে আজকে যে বেড়ে গেল। যখন মহামারি হয় এইভাবেই বাড়ে। তিনি বলেন, বিশেষ করে ভাইরাস মহামারি হলে এভাবে বাড়ে। আজকে থেকেই বোঝা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী যেটা বলেছিলেন সংখ্যা অনেক বাড়বে। জ্যামিতিকহারে বাড়বে, এটা যেভাবেই হোক বাড়া শুরু হয়েছে। এখন আমাদের দেশের একমাত্র উপায় হচ্ছে বাধ্য করা। আমাদের দেশে বাধ্য না করলে মানুষ কথা শুনবেনা। আমরা অভ্যস্ত না। আমি নিজে কতবার যে এটা দেখেছি বলতে পারবনা। আমাদের সমাজটা ঐভাবে তৈরি না। আমরা সমাজে বাধ্য না হলে আমরা কোনকিছু করিনা।পরীক্ষার আগের দিন পড়াশোনা করা। ভাল ছাত্ররা পড়তে পারে। কিন্তু সাধারণ ছাত্ররা কেউই চাপ না দিলে পড়ে না। যেসমাজে চাপ না দিলে আইন মানা হয় না, রাস্তায় যেভাবে মানুষ পার হয়, গাড়ি যেভাবে মানুষ চালায়, বাস যেভাবে মানুষ ধাক্কা মারে সবকিছুতেই বোঝা যায় জাতিগতভাবে আমরা আইন না মানা জাতি। তাহলে লকডাউন করাটা সরকারের অনেক বেশি কঠোর হওয়া উচিত ছিল।
আফসান চৌধুরী বলেন, আর কথা বলে বলে মানুষের মুখ থেকে আর কোন কিছু বের হচ্ছে না। আমার মনে হয়, যেহেতু সামাজিক সংক্রমণ এখন চলছে এখন লকডাউনটা কমাতে পারে। লকডাউন সংক্রমণ সবসময় কমাতে পারে। কিন্তু সরকার তো সেই ব্যাপারে নজর দিচ্ছে না। সরকার এটাকে ছুটি বলার কি দরকার ছিল? এটা কোন কথা হলো? ছুটি ! এখন কেন ছুটি বলছে? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এত সবল প্রধানমন্ত্রী, এটা তার বাবাও ছিলেননা। তিনি এত সবল অবস্থায় আছেন। তিনি তো বললেই পারেন , না ভাই চলবেনা। তাহলেই তো হয়ে যায়। তিনি সেনাবাহিনীকে কেন বলছেন না? মানুষে সেনাবাহিনী আর পুলিশ ছাড়া কারো কথা শুনবেনা। আমাদের একটা জিনিস খেয়াল করা দরকার, দুর্ভাগ্যজনকভাবে কয়েকটা পেশার প্রতি মানুষের ক্ষোভ বেড়ে গেছে। দূর্ভাগ্যজনকভাবে এটা ডাক্তারদের ব্যাপারে হয়েছে। কিন্তু একইসাথে মানুষের পুলিশের প্রতি অনেক বেশি সহমর্মিতা দেখা গেছে। এই পুলিশকে তো তারা দেখেনি যে তাদের সহায়তা করে। পুলিশকেতো দেখি পেটাতে ঘুষ দিতে। এই কারণে পুলিশ যথেষ্ট ছিল। সরকার যদি আজকে ঘোষণা করে আজকে যদি এই দুঘন্টা পরে বলে, ঘর থেকে বের হবেননা। বের হলে শাস্তি দেয়া হবে। এটা সরকার বলতে পারলে কিছু একটা হতে পারে।
তিনি বলেন, সামাজিক সংক্রমণ যেহেতু শুরু হয়েছে তার মানে এই সংখ্যা বাড়তে থাকবে। কতদূর বাড়বে সেটা বলা যাচ্ছেনা। আমেরিকাতে সামাজিক সংক্রমণ। সেখানে মানুষ ঘুরে বেড়িয়েছে। মানুষ কথা শোনেনি। যেই কথা শোনেনি। তাকেই দামটা দিতে হবে। আমাদের যদি এটা হয়, ঢাকা শহর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ঢাকার বাইরের খবর আমি অতটা জানিনা। কেবলমাত্র সরকার যদি বলে মানতেই হবে। না মানলে আমি শাস্তি দেব। তাহলেই হয়ে যায়। সরকার এই সময়ে সেনাবাহিনীকে ডাকুক। এই সময় কোন রাজনীতির কথা নয়। সবাই চাইছে সেনাবাহিনীকে আনুক। এখন তাদের এনে সাধারণ মানুষকে কথা শোনাতে হবে।
করোনা পরিসংখ্যান এর লাইভ আপডেট দেখুন
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা