অনলাইন ডেস্ক
উদার চিন্তাচেতনা, প্রখর ব্যক্তিত্ব ও সংবেদনশীলতা এবং চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কারণে তিনি সবার প্রিয় নেতায় পরিণত হন মেয়র হানিফ। ছাত্রাবস্থায় ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৬৫ সালে বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিবের দায়িত্ব পান। এ সময় ছয় দফা মুক্তি সনদ প্রণয়ন ও প্রচারে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা পরবর্তীকালে সব আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে প্রথম কাতারে থেকে নেতৃত্ব দেন মোহাম্মদ হানিফ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেয়র হানিফকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন ও ভালোবাসতেন। তাই ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু তার ঢাকা-১২ আসন ছেড়ে দেন এবং মোহাম্মদ হানিফ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে জাতীয় সংসদে হুইপেরও দায়িত্বও পালন করেন তিনি। ১৯৭৬ সালে মোহাম্মদ হানিফ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
২০০৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মুক্তাঙ্গণে এক সমাবেশে সভাপতির ভাষণ দেয়ার সময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ব্যাংককে তীব্র যন্ত্রণা ভোগ করে দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে ঢাকায় ফিরে ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর রাতে ৬২ বছর বয়সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। অবসান ঘটে মোহাম্মদ হানিফের কর্মময় বণার্ঢ্য রাজনৈতিক জীবনের।
জন্মদিন উপলক্ষে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন কবর জিয়ারত, দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে। হানিফের ছেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন তার বাবার আত্মার শান্তিকামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা