অনলাইন ডেস্ক
নূরুল ইসলাম মঞ্জুর মৃত্যুর বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে পিরোজপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আলমগীর হোসেন জানান, তিনি কিছু দিন আগে স্ট্রোক করে ঢাকার এ্যাপেলো হাসপাতালে ভর্তি হন।
নূরুল ইসলাম মঞ্জুর গ্রামের বাড়ি ভাণ্ডারিয়া উপজেলার চরখালী গ্রামে। মৃত্যুকালে তিনি ৪ ছেলে ও ৩ কন্যা সন্তান রেখে গেছেন।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছেন পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি জেলা বিএনপির সভাপতি গাজী নুরুজ্জামান বাবুল, সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা অধ্যাপক আলমগীর হোসেন সহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন।
নূরুল ইসলাম মঞ্জু মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ৯নং সেক্টরের বেসামরিক প্রধান ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময়ে বরিশাল থেকে ও পরে পিরোজপুর-২ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারের রেল ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
নূরুল ইসলাম মঞ্জু ১৯৬২ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বৃহত্তর বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।৭৫ পরবর্তী সময়ে তিনি জিয়াউর রহমানের বিএনপিতে যোগদান করেন এবং মৃত্যু পর্যন্ত তিনি জেলা বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন।
নূরুল ইসলাম মঞ্জু ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি বরিশালের ব্রজমোহন স্কুলে লেখা-পড়া কালে শিশু-কিশোর সংগঠন মুকুল ফৌজের বরিশাল শহর সংগঠক নির্বাচিত হন।১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করে কারাবরণ করেন।
১৯৫৪ সালে বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৫৫ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ইকবাল হল (বর্তমান জহুরুল হক হল)ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে বরিশালে আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা