মনির হোসেন লিটন
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিকে অফিস স্থাপনের জন্য প্রথম সরকারি জায়গা দিয়েছিলেন এক সময়ের পূর্তমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তবে মোহাম্মদপুরে সেই দ্বিতল বাড়িটি বুঝে পাওয়ার আগেই বাড়ির দুই বাসিন্দা আদালতে মামলা করায় ডিআরইউ সেই বাড়ি আর পায়নি। ডিআরইউর সরকারি জায়গার জন্য দ্বিতীয় উদ্যোগ নেয়া হয় ২০০৩ সালে। সাদেক হোসেন খোকা তখন ঢাকার মেয়র এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী।
বছরের শুরুর দিকেই কোন এক অনুষ্ঠানে তিনি ডিআরইউতে আসেন। অনুষ্ঠানের পর ডিআরইউ নেতারা সংগঠনের স্থায়ী আয়ের ব্যবস্থা হিসাবে সিটি কর্পোরেশনের কোনো মার্কেটে ডিআরইউর নামে বিনামূল্যে কয়েকটি দোকান বরাদ্দ দিতে তাঁর কাছে অনুরোধ জানান। আইনগত কোন বাধা না থাকলে তিনি এতে রাজি জানিয়ে ডিআরইউ নেতাদেরকে মার্কেট বাছাই করতেও বলেন। তবে মার্কেট নয়-ইউনিটি খোকার কাছে নির্দিষ্ট একটি জায়গার প্রস্তাব নিয়ে যায়। জায়গাটি হচ্ছে শাহবাগে শিশু পার্কের সামনে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে প্রবেশপথের পাশে অসমাপ্ত ভবনের জায়গা, যেখানে তখন ফুলের বাজার বসতো।
শিশুপার্ক সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে-এই যুক্তিতে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা ডিআরইউর প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। কিন্তু ডিআরইউকে সেই জায়গাটি দিতে রাজি হয়েছিলেন সাদেক হোসেন খোকা। তিনি নিজেই ডিআরইউ নেতাদেরকে কীভাবে আবেদন করতে হবে সেটি বলে দেন। তার কথামত ডিআরইউ “স্থায়ী কাঠামো করা হবেনা” এবং “ভবিষ্যতে শিশুপার্ক সম্প্রসারনের উদ্যোগ নেয়া হলে জায়গা ছেড়ে দেয়া হবে” এমন কথা লিখে আবেদন করতে বলেন।
আমাদেরকে চুপি চুপি বলেন, “আগে জায়গা হাতে নাও। পরে সিটি কর্পোরেশন তোমাদেরকে উঠিয়ে দিতে চাইলেও অন্য একটি জায়গা দিয়ে উঠাতে হবে।” তার পরামর্শমত আবেদন করার পর তিনি ডিআরইউকে জায়গাটি বরাদ্দের প্রস্তাব অনুমোদন করেন এবং সিটি কর্পোরেশন কর্মকর্তাদেরকে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন। এই জায়গা পাওয়ার প্রক্রিয়া যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে, তখনই সেগুনবাগিচা খালের পাশে সরকারি জায়গায় বস্তির (যেটি এখন ডিআরইউর নিজস্ব ভবন) কথা বলেন তখনকার স্থানীয় কমিশনার চৌধুরী আলম। তার কথায় সাদেক হোসেন খোকাও এই জায়গাটি পেতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তদবির করবেন বলে কথা দেন।
জানান, এটি না হলে সিটি কর্পোরেশনের জায়গাটি তিনি দেবেনই দেবেন। পরে তিনি কথা রেখেছিলেন, বর্তমান জায়গাটি ডিআরইউকে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দুজন মানুষ জোরালোভাবে অনুরোধ ও তদবির করেছেন। একজন সাদেক হোসেন খোকা, অন্যজন তখনকার তথ্যমন্ত্রী তরিকুল ইসলাম। তারা দুজনেই আজ না ফেরার দেশে। দুজনের প্রতিই শ্রদ্ধা।
# মনির হোসেন লিটন, সিনিয়র সাংবাদিক, ডিআরইউ এর সদস্য।লেখকের ফেসবুক থেকে নেয়া।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা