সাকিব আল হাসানকে আইসিসি সাজা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে ক্রিকেট অঙ্গনে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছেন বিশ্বের বেশ কয়েকজন সাবেক তারকা ক্রিকেটার।ক্রিকেটবিশ্বে চলছে আলোড়ন।
পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটসম্যান ও ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজা টুইটারে লিখেছেন, সাকিবের শাস্তি থেকে শেখার আছে অনেক কিছু, ‘সুতরাং, সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞা সকল ক্রীড়াপ্রেমী এবং ক্রীড়াবিদদের জন্য একটি শিক্ষা: যদি আপনি খেলাকে অসম্মান করেন এবং বিদ্যমান নিয়ম-নীতিকে সরিয়ে দিয়ে খেলার ঊর্ধ্বে যাওয়ার চেষ্টা করেন তাহলে চমৎকারভাবে পতনের জন্য তৈরি থাকুন। দুঃখজনক।’
ভন টুইট করেছেন, ‘সাকিব আল হাসানের জন্য বিন্দুমাত্র কোনো সমবেদনা নেই। বিন্দুমাত্রও না। এই যুগে প্রত্যেক খেলোয়াড়কে সবসময় উপদেশ দেওয়া হয়ে থাকে তারা কী করতে পারবেন আর কী করতে পারবেন না এবং সঙ্গে সঙ্গে কোন বিষয়টি সম্পর্কে রিপোর্ট করতে হবে। ২ বছর যথেষ্ট না। আরও বেশি হওয়া উচিত ছিল।’
স্টাইরিসও একই সুরে লিখেছেন, ‘(নিষেধাজ্ঞা) এক বছর স্থগিত? কেন? কমপক্ষে দুই বছরের জন্য বিদায় (করা উচিত ছিল)।’
আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী আইনে বলা আছে, কোনো ক্রিকেটার যদি কোনো জুয়াড়ির কাছ থেকে ম্যাচ পাতানোর বা স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পান, তাহলে দ্রুতই তা আইসিসিকে বা সংশ্লিষ্ট বোর্ড কর্মকর্তাদের জানাতে হবে। না জানালে সেটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী, এই ধারা ভঙ্গের সাজা সর্বনিম্ন ছয় মাস থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা।
সাকিবের খেলা উপভোগ করেন এবং তাকে ফের মাঠে দেখতে চান- এমন প্রত্যাশার কথা জানানোর পাশাপাশি ভারতের প্রখ্যাত ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী আইনের ধারার প্রতি ইঙ্গিত করে টুইট করেছেন, ‘আমার (টুইটার অ্যাকাউন্টের) টাইমলাইনে অনেকেই বলছেন যে সাকিবের শাস্তিটা অনেক কঠিন হয়ে গেছে। বিপরীত দিক থেকে দেখলে, তিনি খুবই সৌভাগ্যবান যে এক বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন অর্থাৎ এক বছরের মধ্যে আবার মাঠে ফিরতে পারবেন তিনি।’
ভারতের ক্রীড়া সাংবাদিক ও লেখক বরিয়া মজুমদার অবশ্য একটি প্রশ্ন রেখেছেন, সাকিবের শাস্তি কি আরেকটু কম হতে পারত না? তাঁর টু্ইট, ‘এক বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ দুই বছর নিষিদ্ধ হওয়া সাকিবের জন্য বড় আঘাত। নির্মম? সে কিন্তু কোনো দুর্নীতি করেনি। তাঁকে কি আরেকটু কম শাস্তি দেওয়া যেত না?’ ভারতের আরেক ক্রীড়া সাংবাদিক গৌরভ কালরার টুইট, ‘আইসিসির প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সাকিব তিনটি আলাদা প্রস্তাব পাওয়ার কথা জানায়নি। কেন জানায়নি, তা মনকে চমকে দেয়।’
২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন সাকিব। এ সময়ে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ককে বড় টুর্নামেন্টে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। ভারত সফরে তো থাকছেনই না, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বেও সাকিবকে পাবে না বাংলাদেশ।
অপরাধ এবং শাস্তি দুটোই মেনে নেওয়ায় শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ পাচ্ছেন না সাকিব আল হাসান। তবে নিষেধাজ্ঞা চলার সময় তিনি যদি শাস্তির বিধিবিধান সঠিকভাবে মেনে চলেন, তাহলে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা-আইসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য দেওয়া হয়।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা