অনলাইন ডেস্ক
রোববার (১৮ জুন) দুপুরে প্রেসক্লাব গাইবান্ধার উদ্যোগে জেলা শহরের ডিবি রোডের নাট্য সংস্থার সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এছাড়া কর্মসূচিতে গাইবান্ধার সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কর্তৃক সাংবাদিক রিপন আকন্দ ও রবিন সেনের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং প্রেসক্লাব গাইবান্ধা নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সদর থানা পুলিশের অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদ জানানো হয়।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে প্রেসক্লাব গাইবান্ধার সভাপতি খালেদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক জাভেদ হোসেনসহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা বক্তব্য দেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, সাংবাদিক নাদিম হত্যা গণমাধ্যমের জন্য হুমকি। অচিরেই সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলসহ সারা দেশে সাংবাদিকদের নামে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
গাইবান্ধার প্রসঙ্গে বক্তারা বলেন, গাইবান্ধার সদর থানার কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তার সীমাহীন দুর্নীতিতে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না। সাধারণ মানুষের থানায় সেবা পাওয়া দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। বক্তারা অবিলম্বে গাইবান্ধা সদর থানার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, বুধবার (১৪ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বকশীগঞ্জ পৌরসভার পাটহাটি এলাকায় হামলার শিকার হন গোলাম রব্বানী নাদিম। সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর নেতৃত্বে ১০-১২ জন তার ওপর হামলা করে। পরে স্থানীয় এক সাংবাদিকসহ কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। রাত দেড়টার দিকে জামালপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২৫ জনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা